বিশ্বের সেই ৮ স্থান যেখানে আজও মানুষ যেতে পারে না !
পৃথিবীতে এমন অনেক জায়গা রয়েছে, যেখানে মানুষের যাবার আগ্রহ রয়েছে। কিন্ত হয় সরকারের বিধি নিষেধ, নতুবা মৃত্যুর ভয়, অথবা কুসংস্কারের কারনে সেই সব স্থান দর্শনের সুযোগ পাননা পর্যটকরা।
নর্থ সেন্টিনেল দ্বীপ: তালিকায় সবার প্রথমেই নাম আসবে বাড়ির পাশের আন্দামানের। আন্দামানের নর্থ সেন্টিনেল দ্বীপে মানুষ থাকে ঠিকই! তবে, সেই উপজাতি অন্য কোনও মানুষের সংসর্গ একেবারেই পছন্দ করে না। ১৯৭৫ সালে ন্যাশনাল জিওগ্রাফির এক পরিচালক একটা তথ্যচিত্র বানাবার উদ্দেশ্যে গিয়ে পৌঁছিয়েছিলেন ওই দ্বীপে। উপজাতিরা পায়ে বিষাক্ত তীর মারে। তার পর আর কেউ খুব একটা ঝুঁকি নেয়ও না!
লাসক গুহা: ফ্রান্সের দক্ষিণের এই গুহা আদিম মানুষের আঁকা গুহাচিত্রের জন্য বিখ্যাত। বিস্তৃত গুহার ছাদ, দেওয়াল জুড়ে শুধু রং আর রেখার কারিগরি। মুশকিল হল, গুহার ভিতর মানুষ ঢুকলে নিঃশ্বাসে ছাড়া কার্বনের প্রভাবে ছবিগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই নিতান্ত প্রয়োজন না থাকলে প্রত্নতাত্ত্বিক ছাড়া অন্যদের গুহায় ঢুকতে দেওয়া হয় না।
মেট্রো ২: পড়েই নিশ্চয় বুঝতে পারছেন, এটা জায়গাটার ডাকনাম! এই বিশাল লম্বা মেট্রো টানেল রয়েোছে রাশিয়ায়। প্রায় ৩০,০০০ মানুষের এর মধ্যে ঠাঁই হতে পারে। সব চেয়ে বড় কথা, ক্রেমলিন থেকে এফএসবি-র হেডকোয়ার্টার পর্যন্ত সরাসরি সংযোগ রক্ষা করে এই সুড়ঙ্গ পথ। সেই জন্যই গুপ্ত হামলার ভয়ে এই সুড়ঙ্গে ট্রেন চালানো হয় না।
আইস গ্র্যান্ড শ্রাইন: সূর্যদেবের এই মন্দিরের অবস্থান জাপানে। সেখানে আশ্রম বানিয়ে থেকে তাঁর পুজো করেন সন্ন্যাসী আর সন্ন্যাসিনীরা। কিন্তু, তাঁদের আশ্রমে যেতে পারেন না সাধারণ মানুষ। কারণ একটাই- সূর্যদেবের এই মন্দিরের সব সন্ন্যাসী-সন্ন্যাসিনীরাই রাজবংশের মানুষ। ফলে, তাঁদের অভিজাত ধর্মাচরণে যাতে কোনও ব্যাঘাত না ঘটে, সেই জন্যই এমন বন্দোবস্ত।
পূর্ব রেনেল, সলোমন দ্বীপ: ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের আওতায় থাকা এই দ্বীপের ভয় অন্যত্র! শোনা যায়, এই দ্বীপে না কি বাস করে দৈত্যরা! নরমাংস ভক্ষণের জন্য তাদের প্রসিদ্ধিও ভালই! ফলে, ওখানে গিয়ে প্রাণের ঝুঁকি নিতে চায় না কেউই!
ইস্টার দ্বীপ, চিলি: এই দ্বীপে কোন ঝুঁকি নেই। কিন্তু, দূরত্ব এতটাই যে পর্যটকরা খুব একটা গিয়ে ওঠার আগ্রহ বোধ করেন না!
স্নেক আইল্যান্ড: নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে, এই দ্বীপ সাপেদের জন্য, মানুষের জন্য নয়। নিশ্চিত থাকতে পারেন, এখানে গেলে কয়েক পা এগেলোই একটা করে বিষাক্ত সাপ চোখে পড়বে। তাই ব্রাজিল আর্মি এখানে সাধারণ মানুষকে যেতে দেয় না!
পোভেজিলা, ইতালি: ভেনিস আর ইতালির মাঝের এই দ্বীপ ব্যবহার করা হত মানুষকে নির্বাসন দণ্ড দেওয়ার জন্য। একবার, ১৩৪৮ সালে ভয়াবহ এক মহামারীর মুখে পড়ে ভেনিস। তখন সমস্ত অসুস্থ মানুষকে এক জোটে নিয়ে গিয়ে রাখা হয় ওখানে। এবং, মৃত ভেবে অনেক অসুস্থ মানুষকেও পুড়িয়ে দেওয়া হয়। তার পর থেকেই ওই দ্বীপ পড়ে আছে সম্পূর্ণ পরিত্যক্ত অবস্থায়।