আঁখির উপস্থাপনায় ঈদের বিশেষ সঙ্গীতানুষ্ঠানে রুনা লায়লা ও আলমগীর।
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন গায়িকা রুনা লায়লা। বাংলাদেশ টেলিভিশনে বরেণ্য এই সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা সর্বশেষ গান গেয়েছিলেন ১৯৯৪ সালে। উপমহাদেশের প্রখ্যাত এই সংগীতশিল্পী প্রায় দুই যুগ পর বাংলাদেশ টেলিভিশনের দর্শকের জন্য গান গাইলেন।
আসছে ঈদে বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্য নির্মিত “তোমাদেরই গান শুনাবো” অনুষ্ঠানে রুনা লায়লাকে সংগীত পরিবেশন করতে দেখা যাবে। বিটিভির মহাপরিচালক এসএম হারুন অর রশীদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং মাহবুবা ফেরদৌসের প্রযোজনায় ইতোমধ্যে অনুষ্ঠানের রেকর্ডিংয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে বাংলাদেশ টেলিভিশনে। তবে এর আগে রুনা লায়লা বাংলাদেশ টেলিভিশনে যতবার গান গেয়েছেন তার চেয়ে চমক থাকছে এবারের আয়োজনে। কারণ এবারের অনুুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেছেন আঁখি আলমগীর এবং অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে দেখা যাবে নায়ক, প্রযোজক ও পরিচালক আলমগীরকেও। ‘প্রতিদিন তোমায় দেখি সূর্যের আগে’, ‘গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে’, ‘যখন থামবে কোলাহল’, ‘ভুলিতে পারিনে তাই আসিয়াছি পথ ভুলি’, ‘আমায় ভাসাইলিরে’, ‘কার তরে নিশি জাগো রাই’সহ আরও দুটি গজল গেয়েছেন রুনা লায়লা। এ প্রসঙ্গে রুনা লায়লা বলেন, ‘প্রায় দুই যুগ পর বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্য গান গাইলাম। সত্যিই খুব ভালো লেগেছে। তাছাড়া আঁখির উপস্থাপনাও খুব ভালো হয়েছে। পুরো অনুষ্ঠানটি আশা করছি দর্শকের কাছে উপভোগ্য হবে।’ আঁখি আলমগীর বলেন, ‘এমন একটি অনুষ্ঠানে আমাকে উপস্থাপিকা হিসেবে রাখার জন্য বিটিভি কর্তৃপক্ষের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আমি কখনও ভাবিনি এমন অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করার সুযোগ পাব। আমি চেষ্টা করেছি আমার উপস্থাপনার মধ্য দিয়ে তার মতো একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিল্পীকে যথাযথভাবে তুলে ধরার। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আব্বার উপস্থিতিটাও ছিল রুনা আন্টির জন্য অনেক বড় চমক। সব মিলিয়ে খুব ভালো একটি অনুষ্ঠান হয়েছে।’ উল্লেখ্য, বাংলাদেশ টেলিভিশনে রুনা লায়লা প্রথম সংগীত পরিবেশন করেন ১৯৭৪ সালে। সর্বশেষ ১৯৯৪ সালে তিনি বিটিভিতে সংগীত পরিবেশন করেন।
“তোমাদেরই গান শুনাবো” অনুষ্ঠানের কিছু আংশ দেখুনঃ সৌজন্যে, মাহবুবা ফেরদৌস, প্রযোজক বাংলাদেশ টেলিভিশন।
Comentários