top of page

তারকাদের পূজো।


কুমার বিশ্বজিৎ, অপু বিশ্বাস, চঞ্চল চৌধুরী ও উর্মিলা শ্রাবন্তী কর।

ছবি : কুমার বিশ্বজিৎ, অপু বিশ্বাস, চঞ্চল চৌধুরী ও উর্মিলা শ্রাবন্তী কর।


জাগতিক ব্যস্ততার মধ্যে উৎসব আসে মহাজাগতিক আনন্দ নিয়ে। তাই শত ব্যস্ততার মধ্যেও উৎসবের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হতে চান না কেউই। শরতে কাশফুল, শিউলির সঙ্গে পাওয়া যায় ঢাকের আবাহন সংগীত। প্রকৃতির রঙ নিয়ে শারদীয় দুর্গাপূজা হয়ে উঠে সার্বজনীন দুর্গোৎসব। এ উপলক্ষে কয়েকজন তারকার সঙ্গে কথা হয় যা পাঠকদের জন্যে তা তুলে ধরা হলো :


কুমার বিশ্বজিৎ

পূজার আনন্দ এখন আর মণ্ডপে গিয়ে সেভাবে করা হয়ে ওঠে না। তবে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ ছিল ঢাক বাজানোর প্রতি। বড় ধরনের দুর্বলতা কাজ করত। পূজার শেষের দিকে আমাদের ওখানে ঢাক প্রতিযোগিতা হয়েছিল। দুবার পুরস্কার পেয়েছিলাম। এটি আমার কাছে বেশ স্মরণীয়। পূজার কটা দিন ঢাকের সঙ্গেই থাকতাম। আমি যেহেতু এক ছেলে, তাই আমাকে পরিবারের দৃষ্টির মধ্যে থাকতে হতো। স্কুল থেকে এসে কোনো রকম ভাত খেয়েই পূজামণ্ডপের পাশে একটি রুমে থাকা ঢাকওয়ালার কাছে চলে যেতাম। ওদের সহকারীর মতো কাজ করতাম। এটি আবার মা-বাবা পছন্দ করতেন না। এর জন্য মারও খেয়েছি। এটি দেশ স্বাধীনের পরের ঘটনা। আমিও ছোট, স্কুলে পড়ি। এখনো ঢাকের আওয়াজ শুনলে সেখানে চলে যাই। তবে এবার পূজা কাটবে আমেরিকায়। দেশে ফিরব অক্টোবরের ১৭ তারিখের দিকে। সবাইকে পূজার শুভেচ্ছা।

অপু বিশ্বাস

এবার পূজাটা আমার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। অনেক স্মরণীয় করে রাখতে চাই এবারের পূজাটাকে। আমার ছেলে জয়কে নিয়ে পূজা দেখতে যাব। এরইমধ্যে ২৭ সেপ্টেম্বর আব্রাহাম খান জয়ের জন্মদিন। অনেক জাঁকজমকভাবে সেটি উদযাপন করা হবে। পূজার মধ্যে ওর জন্মদিন পড়েছে। অনেক সারপ্রাইজ রয়েছে। ইচ্ছে রয়েছে জয়কে নিয়ে বনানীতে পূজা দেখতে যাবো। অনেকে হয়তো ভাবতে পারেন মুসলমান হয়ে পূজা কিসের। আমার কাছে সবই উৎসব। ঈদ-পূজাকে কখনো আলাদা করে দেখিনি। আমার বাবা-মাকে তো আর অস্বীকার করতে পারবনা। তাঁদের মেয়ে হিসেবে পূজায় তাঁদের সঙ্গে থাকতে হবে। রক্তের সম্পর্ক কি অস্বীকার করা যায়? ছোটবেলায় পূজায় অনেক মজা করতাম। মায়ের সঙ্গে মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করতাম। নতুন নতুন অনেক পোশাক কেনা হতো আমার জন্য। ছোটবেলায় নতুন পোশাক আর খাওয়া-দাওয়া ছিল পূজার সবচেয়ে বড় আনন্দ।

চঞ্চল চৌধুরী

যখন পূজাটা উপভোগ করতাম, তখন অনেক ছোট ছিলাম। নতুন পোশাকের আনন্দ ছিল। ছোটবেলায় অনেক দারিদ্র্যের মধ্য দিয়ে বড় হয়েছি। সারা বছর অপেক্ষা করতাম পূজার জন্য, নতুন পোশাক পাব বলে। জামা-কাপড়ের জন্য এক মাস আগে দর্জি বাড়িতে যাওয়া হতো। কাপড় কিনে দিয়ে আসার পর থেকে প্রত্যেক দিন একবার করে জিজ্ঞেস করতে যেতাম, হয়েছে কি না? ছোটবেলার পূজা ছিল পোশাককে কেন্দ্র করে। দিনের পরিবর্তনে সেই শৈশব, কৈশোর পার হয়ে এসে এখন আমার সন্তান পূজা উৎসবের দিনগুলোতে আনন্দ করবে। এখন সেই আনন্দ পূরণ করার দায়িত্বটা আমার। এখন নিজের জন্য সেভাবে আনন্দ করা হয় না। ছোটবেলায় একমাস আগ থেকে অপেক্ষা করতাম পূজার জন্য। আমাদের স্কুলের মাঠে বিবাহিত বনাম অবিবাহিতদের ফুটবলসহ অন্যান্য খেলা হতো। ছোটবেলায় এভাবে পূজার সময় কাটত। এবার পরিকল্পনা রয়েছে সন্তান আর স্ত্রীকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে যাব। আমার বাবা-মা গ্রামের বাড়িতে থাকেন। বছরের এই সময় আমাদের সবারই বাড়িতে যাওয়া হয়। আমরা আট ভাই-বোন, তাদের বাচ্চা, বন্ধুসহ প্রায় ৪০-৫০ জনের একটি মিলনমেলা ঘটে। পূজাটা উদযাপন করি। এবার অনেক মজা করব পূজাতে।

অপর্ণা ঘোষ

এবারের পূজাটা দেশের বাইরে কাটানোর পরিকল্পনা রয়েছে। কলকাতায় যাওয়ার ইচ্ছেটা বেশি। বাবা-মাসহ পূজার সময় সাধারণত চট্টগ্রামেই কাটানো হয়। চট্টগ্রামে নিজেদের পাড়াতেই পূজা হয়, সেটি কখনো মিস করতে চাই না। ছোটবেলা ছাড়া স্মরণীয় পূজা আসলে নেই। সে সময়টাতেই পূজা বেশি উপভোগ করতাম। ঘটনা বলতে যতটুকু মনে পড়ে, অষ্টমীর দিন যে কুমারী পূজা সাজানো হয়েছিল, তখন তো আসলে এসব কিছুই বুঝি না। তখন তো বুঝি না কেন আমাকে এভাবে সাজানো হলো? সাজাটাই ছিল গুরুত্বপূর্ণ। বিষয়টি অনেক ভালোলাগার ছিল। এরপর যখন টেবিলের ওপর বসিয়ে দেয়া হলো, তখন অনেকেই প্রণাম করেছিলেন। সেই সময়গুলোর স্মৃতি এখনো মনে আছে। আর এখন যখন মনে পড়ে, তখন মনে হয়, এখন যদি তেমন হতে পারতাম! পূজা মানেই আমার কাছে ছেলেবেলা।

উর্মিলা শ্রাবন্তী কর

আমার জীবনে আর কোনো দিন পূজা হয়তো বিশেষভাবে আসবে না। কারণ, গত বছর পূজার শেষ দিন আমার বাবা হাসপাতালে ভর্তি হন। পূজার কয়েকদিন পর আমার বাবা মারা যান। পূজার সময়টায় হাসপাতালে বাবার সঙ্গে ছিলাম। যার কারণে পূজার সময়টা আমার জন্য এখন বেশ কষ্টের। এটি চিরজীবনের জন্য। তবে বাবা চলে যাওয়ার আগে একটি বার্তা দিয়ে গেছেন। বাবা চাইতেন আমি যেন পূজার সময় নাটক করি। শেষে পূজাতে বাবা যখন অসুস্থ ছিলেন, আমি বলেছিলাম, আমি কাজ বন্ধ করে তোমাকে সময় দেই। তিনি কোনোভাবেই রাজি হচ্ছিলেন না। বাবা বলেছিলেন, তুমি আমাকে সময় না দিয়ে কাজটি কর। আর এবারের পূজাতে বাবার অনুপস্থিতিটা অনেক বেশি দুঃখ দিবে। গত তিন-চার বছর ধরে প্রতিটি দুর্গাপূজাতে কোনো না কোনোভাবে দুর্গা সাজানো হয়। ফটোশ্যুট কিংবা অন্যান্য যে কোনোভাবেই। এজন্য আমাকে দেবী বলে ডাকা হয়। এ বিষয়টি খুব উপভোগ করি।

Comments


  • Twitter Social Icon
  • Facebook Social Icon
  • Google+ Social Icon
  • LinkedIn Social Icon
Follow
"SAREGAMA JUST IN"

  জনপ্রিয় সংবাদ সা রে গা মা

বাংলা গান সা রে গা মা

Print  / Press Ctrl+P
Saregama Bangla

Sa Re Ga Ma News Archive

Write Yours Comments. 

RSS Feed

Reproduction of any content, news or article published on this website is strictly prohibited Privacy. 

bottom of page