সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা। আজ সেই মহারণ।২২ গজের মাঠে নামবে দুটি দল। বাংলাদেশ-ভারত।
সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা। আজ সেই মহারণ। অপেক্ষার অবসান। ২২ গজের মাঠে নামবে দুটি দল। বাংলাদেশ-ভারত। বাংলাদেশের খেলা মানেই মাঠে তারকাদের সরব উপস্থিতি। এশিয়া কাপের আজকের ফাইনাল ম্যাচে বাংলাদেশ শিরোপা জিতবেই- আর এমন আশায় বুক বেঁধেছেন ষোলো কোটি বাঙালি। আর সেই সাথে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র, শোবিজ কিংবা গান, সকল অঙ্গনের তারকারই যে যার অবস্থান থেকে বাংলাদেশ দলকে সমর্থন জুগিয়ে যাচ্ছেন। তারকাদের মধ্যে কেউ কেউ আবার স্টেডিয়ামে, আবার কেউ বাসায় বসেই এ খেলা উপভোগ করবেন। তবে টিকেট নামের সোনার হরিণ পেয়েছেন খুব কম তারকাই। আর বাংলাদেশ ভারতের আজকের খেলার রেশ পরেছে সব জায়গাতেই। শুটিংস্পট থেকে শুরু করে , স্টুডিও কিংবা তারকাদের ড্রয়িংরুমেও। আমাদের সাধারণ দর্শকদের একটি বিষয়ে খেয়াল রাখা উচিত, সেটি হল খেলোয়াড়দের উপর মানসিকভাবে চাপ সৃষ্টি না করা। তাদেরকে তাদের মত করে খেলার স্বাধীনতা দেওয়া উচিত। জিততে হবে এরকম জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার দরকার নাই। তাদেরকে বরং উৎসাহ দান করা উচিত। মাঠে গিয়ে সবাই উচ্ছ্বাস করুক। কিন্তু কাউকে অবহেলা করার দরকার নাই। সবাই ফুর্তি করুক, সমস্যা নাই। খেলায় যেহেতু হারজিত আছে সুতরাং ধরে নিলাম আমরা আজ জিতবোই। বাকিটা সময় বলে দিবে।
তবে আমি বাসাতেই খেলা দেখব। আমরা কয়েকজন ভারতীয় সমর্থক আর কয়েকজন বাংলাদেশি সমর্থক মিলে আজ খেলা দেখব। তারা একদিকে থাকবে। আর আমরা বাসার গ্যালারির আরেকদিকে থাকব। এমন হতে পারে খেলা দেখতে দেখতে মারপিটও লেগে যেতে পারে (হা হা হা)। আমার সবসময় পছন্দের খেলোয়াড় মাশরাফি। মাশরাফি এবং মাশরাফি...। যদিও বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলোয়াড়দের মধ্যে সবাই খুব ভাল খেলেন। কিন্তু আমি খুবই অন্ধভাবে মাশরাফির ভক্ত। মাশরাফি হচ্ছেন সেই যোদ্ধা যে দলকে বিপদে একাই সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। দলকে জয়ী করতে পারে। এটিও মাথায় রাখতে হবে জিততে হলে দলের সবাইকে ভাল খেলতে হবে।