কলেজ ছাত্রী তনু হত্যা : বিচারহীনতার সংস্কৃতিই দায়ী; বিশ্লেষকদের অভিমত।
- MUSIC BANGLA
- Mar 25, 2016
- 1 min read

ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যার প্রতিবাদ কুমিল্লা ছাড়িয়ে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ হচ্ছে সবখানে। এর কয়েকদিন আগে, চলন্ত বাসে পরিবহন শ্রমিকদের ধর্ষণের শিকার হয়েছেন দুই নারী। প্রায়ই গণমাধ্যমের শিরোনাম হচ্ছে, এ ধরনের ঘটনা। এমন পরিস্থিতিতে সবার মুখেই প্রায় একই কথা, বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণেই দেশে এ ধরণের হত্যাকাণ্ড ঘটেই চলেছে।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. নেহাল করিম রেডিও তেহরানকে বলেন, পৃথিবীর সব দেশেই ধর্ষণ, খুনসহ নানা ধরনের অপরাধ হয়ে থাকে। তবে এতে মাত্রাগত পার্থক্য আছে। বাংলাদেশে ধর্ষণ এবং হত্যার এ ধরনের ঘটনার মূলে আছে জনসংখ্যার আধিক্য। মানুষ অস্থির হয়ে আছে, তাদের মধ্যে স্থিতিশীলতা কম। সর্বোপরি আইন আছে প্রয়োগ নেই, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সীমাবদ্ধতাও আছে। সেইসঙ্গে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা এ ধরনের অপরাধ প্রবণতার জন্য দায়ী। কারণ, যারা এসব অপকর্ম করে তারা সাহস পেয়েই করে। তারা জানে এ অপরাধে তাদের শাস্তি পেতে হবে না। ফলে সমাজের দুর্বল এবং বিত্তহীন অংশ এসব অপরাধের শিকার হচ্ছেন বলে মনে করেন এ সমাজবিজ্ঞানী।
প্রায় একই ধরনের কথা বলেছেন নারী নেত্রী ফরিদা আকতার। রেডিও তেহরানকে তিনি বলেন, দেশে যদি আইন-শৃঙখলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটে, গণতান্ত্রিক পরিবেশ না থাকে, কিংবা জবাবদিহিতার কোন প্রশ্ন না থাকে, তাহলে এ ধরনের ঘটনা ঘটবেই। কেননা এমন অপরাধ করলেও এখানে অপরাধী ধরা পড়ে না, শাস্তি পায় না। তাছাড়া দেশে নানা রকম অপসংস্কৃতির প্রভাবে সহজভাবে নারীর ওপর আক্রমনের প্রবণতা সৃষ্টি হচ্ছে। তারা মনে করছে, এটা তারা পারে। এটা শুধু পুরুষ হিসেবে নারীর ওপর আক্রমণ নয়, সমাজে ক্ষমতা প্রদর্শনের কেন্দ্র হিসেবে নারীকে দেখছে তারা।
এ অবস্থায় সমাজে শিক্ষা প্রসারের পাশাপাশি সচেতনতা জরুরি বলে মনে করেন এ দুই বিশ্লেষক। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে সর্বস্তরের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে বলে মনে করেন তারা।