শিক্ষিত ফেরিওয়ালা হয়ে আমি যখন বিয়ে করতে যাব !!
ফেসবুকের টাইম লাইনে অনুপ্রেরণার একটি গল্প খুব শেয়ার হচ্ছে। ফেরিওয়ালা যখন কোটিপতি
কয়েকটা অনলাইন নিউজ পোর্টালের মাধ্যমে যতটুকু পড়লাম তা নিয়ে আমার বিশ্লেষণ : অন্য দেশে মেয়ে তার ইচ্ছা অনুযায়ি ছেলে বেছে নিতে পারেন । আমাদের দেশে শিক্ষিত হয়ে যেকোন কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করা ছেলের কাছে কোন মেয়ের পরিবার তার মেয়েকে ফেরিওয়ালার কাছে তুলে দিবেন না ।
কারন আমাদের সমাজের মেয়েররা নিজ ইচ্ছায় কোন ছেলে বেছে নিতে পারেন না। সে সুযোগ এখনো আমাদের দেশে তৈরি হয়নি ।
কাজকে কোন ভাবেই ছোট করে দেখছি না। ছোট কাজ করার মানসিকতা আমাদের দেশে তৈরি হয়নি । অন্য দেশে যে কোন কাজ করার প্রেক্ষাপট আমার দেশের প্রেক্ষাপট ভিন্ন ।
ফুটপাতে চা বিক্রি করে মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করে এমন একজনকে অামি চিনি৷ কিন্তু শিক্ষিত ছেলেরা বিশ হাজার টাকা মাসের চাকরি করলেও সেই ব্যবসা করতে রাজি হবে না৷
আবার এই আমরাই দেশের বাইরে গিয়ে অনেকেই আনেক ছোট কাজ করে থাকি যা দেশে বসে করতে পারিনা।
সেখানে সমাজ এবং রাষ্ট্র এর সাথে সম্পর্ক আছে। যেকোন কাজ করা সম্মান জনক । তার স্বীকৃতি আমাদের সমাজ এবং রাষ্ট্র দেয়নি।
যদি দেয়া হত ফেরিওয়ালা হয়ে একজন শিক্ষিতা ,রুচীশীল এবং সংষ্কৃতিমনা মেয়েকে বিয়ে করতে পারতাম ।
আমার যেকোন কাজের স্বীকৃতি আমাদের সমাজ দিবে না !
আমি শিক্ষিত বেকার যুবক ।সম্মান জনক কাজ খুজে না পেয়ে আমি রাস্তায় ফেরি করতে গেলাম ।আমার জীবিকা নির্বাহ হচ্ছে। আমি স্বনির্ভর ।
শিক্ষিত ফেরিওয়ালাকে কোন মেয়ের বাবা কি,-আমাকে কি তার মেয়েকে আমার হাতে তুলে দিবেন !!! নিশ্চয় দিবেন না।
আজ লিখন সাহেব কোটিপতি জেনেই অনেকে বিয়ের আগ্রহ দেখাচ্ছে !!! কারন লিখনের ঢাকা শহরে দু’টি প্লট । এরমধ্যে একটি আবার অভিজাত এলাকা বসুন্ধরা রিভার ভিউতে। কক্সবাজারের ওশান গার্লের অষ্টম তলায় কোটি টাকা মূল্যের একটি ফ্ল্যাটও আছে তার। লিখন যদি রাস্তায় ফেরি করত - কেউ আসবে বলে মনে হচ্ছে না। লিখন সাহেবের মূল ম্যাসাজ হচ্ছে সব ধরনের কাজ করার মানসিকতা তৈরি করার জন্য লিখন সাহেব কোটিপতি হয়ে রাস্তায় ফেরি করছেন ।তিনি সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছেন ।আমি আশাবাদী তিনি সফল হবেন । মানুষ ভাবতে ও ধারণ করতে শুরু করলেই পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটবে । এটা থাকবে না। শুরু হতে হবে এটাই জরুরি। লিখন ভাইয়ের জন্য শুভ কামনা
পোস্টটি লিখেছেন : এড্ওয়াড মায়া।