শিশুদের বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহী করে তোলে ‘ফেনো'
শিশুদের বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহী করে তোলে ‘ফেনো'
অনেক বাবা-মাই চান তাঁদের সন্তান বিজ্ঞান বিষয়ে আগ্রহী হয়ে উঠুক ৷ কিন্তু সবসময় তা সম্ভব হয়ে ওঠে না ৷
তবে জার্মানিতে একটি বিজ্ঞান কেন্দ্র আছে যেখানে গেলে শিশুরা বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে ৷
প্রতিবছর প্রায় দুই লক্ষ ৭০ হাজার দর্শক ফেনোতে যায় ৷ এর মধ্যে স্কুল শিক্ষার্থীদের দলও আছে ৷ বিজ্ঞান কেন্দ্রের গাইড গিজেলা ক্রাউজে-ব্যার্থেল জানান, ‘‘ফেনোকে এমনভাবে সাজানো হয়েছে যেন শিশুরা বিজ্ঞানের বিষয়গুলোতে মজা পায় ৷
কোন বিষয়ে তারা পরীক্ষা করতে চায় সেটা নিজেরাই ঠিক করে৷ এভাবে তারা মনোযোগ ছাড়াই অনেককিছু শিখতে পারে৷''
শিশুরা যখন নিজেরা চেষ্টা করে কোনো সমাধান বের করে তখন সেই তথ্য তাদের মস্তিষ্কে ভালোভাবে গেঁথে যায় ৷
শিশুরা তাদের বিচারবুদ্ধি দিয়ে বিজ্ঞান বোঝার চেষ্টা করে এবং এভাবে তারা আনন্দ পায় ৷
পেরেকের বিছানার উপর নিজেদের ওজন ভাগ হয়ে যাওয়ার অনুভূতি ফেনোতে গিয়ে বুঝতে পারে শিক্ষার্থীরা ৷
মাকড়সা কীভাবে শৈল্পিক উপায়ে তাদের বাসা বানায় সেটাও শিশুরা নিজেরাই পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পারে ৷
ফেনোর একটি ল্যাবে পৃথিবী নিয়ে ওয়ার্কশপের ব্যবস্থা আছে ৷
সেখানে শিশুরা কেঁচো কীভাবে ত্বক দিয়ে শ্বাস নেয় আর কীভাবে নড়াচড়া করে তা জানতে পারে ৷
এছাড়া খাবার পানি কীভাবে তৈরি হয়েছে ? পানি বিশুদ্ধকরণ প্ল্যান্ট কীভাবে কাজ করে এ সম্পর্কেও ধারনা পায় শিশুরা৷
ফেনোর লক্ষ্য শিশুদের অনেক আনন্দ দেয়া আর তাদের কৌতূহলকে জাগ্রত করে তোলা ৷
শিক্ষার্থীদের যদি নিজে নিজে শেখা আর অনেক অনুশীলন করানোর মাধ্যমে উৎসাহিত করে তোলা যায়, তাহলে তারা কৌতূহলী হয়ে বেড়ে ওঠে, তাদের মধ্যে জানার আগ্রহ গড়ে ওঠে ৷
সামাজিকভাবে মেলামেশার পরামর্শ
এরকম ছেলে-মেয়েদের বাবা-মা এবং শিক্ষকদের প্রতি ডা.মানফ্রেড বয়টেলের পরামর্শ, টিন-এজারদের প্রযুক্তির উন্নয়ন ব্যবহারের পাশাপাশি সামাজিকভাবে মেলামেশার বিষয়টির দিকেও সমান গুরুত্ব দেওয়া এবং লক্ষ্য রাখা উচিত ৷