top of page

বারমুডা ট্রাইঅ্যাঙ্গলের নেপথ্যে আসলে কী রয়েছে!

  • Writer: MUSIC BANGLA
    MUSIC BANGLA
  • Apr 30, 2016
  • 2 min read

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : রহস্যেঘেরা বারমুডা ট্রাইঅ্যাঙ্গলের রহস্য রহস্যই থেকে যাচ্ছিল। কেউ হলফ করেও বারমুডা ট্রাইঅ্যাঙ্গলের আশপাশে ভিড়তে চান না। তবে কোন রহস্য গিলে ফেলত বিমান বা জাহাজকে?বিজ্ঞানীদের দাবি, মিথ্যা হয়ে যাওয়া সেই রহস্যে তারা যবনিকা ফেলতে পেরেছেন।বারমুডা ট্রাইঅ্যাঙ্গলের নেপথ্যে আসলে কী রয়েছে ?

এবার নরওয়ের আর্কটিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন, ওই এলাকায় সমুদ্রের তলায় তারা বড়মাপের বেশ কয়েকটি আগ্নেয়গিরির সন্ধান পেয়েছেন। সেই আগ্নয়েগিরি থেকে ক্রমাগত বেরিয়ে আসছে বিষাক্ত মিথেন গ্যাস। শুধু মিথেনই নয়, তার সঙ্গে বেরিয়ে আসছে আরো কয়েক ধরনের গ্যাস, যার অনেকগুলোই বিষাক্ত। ফলে ওই এলাকায় সমুদ্রে কোনো জলজ প্রাণীও নেই বলে ধারণা গবেষকদের।


গবেষকদের দাবি, মিথেন সমুদ্রে তলদেশ থেকে উঠে এসে সমুদ্রের জলকে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে তুলছে। মিথেনের চাদরে ঢেকে গেছে গোটা এলাকা। উচ্চতা অন্তত ১৫০ ফিট। ফলে কোনো নাবিক বা পাইলটের পক্ষে চারপাশ দেখা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। এ কারণেই একের পরে এক দুর্ঘটনা ঘটেছে বারমুডা ট্রাইঅ্যাঙ্গলে।


পুয়ের্তো রিকো, মায়ামি এবং বারমুডা। তিনদিকে এই তিনটি জায়গাকে রেখে যদি সরলরেখা টানা হয়, তা হলে সমুদ্রের উপরে যে ত্রিভূজ দাঁড়ায়, তা-ই বারমুডা ট্রাইঅ্যাঙ্গল হিসেবে কুখ্যাত।

‘কুখ্যাত’ এ কারণেই যে, ওই এলাকায় বহু জাহাজ এবং বিমান নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে।

সমুদ্রের তলায় বিশাল প্রাণী থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ, ঝড়- বারমুডা ট্রাইঅ্যাঙ্গল ঘিরে ছিল রহস্য আর মিথ। সঙ্গে নানাবিধ ব্যাখ্যা।

কেন বারমুডা ট্র্যাঙ্গেলে গিয়ে হারিয়ে যায় জাহাজ? কেনই বা নিখোঁজ হয়ে যায় বিমান?

আর তারপর সেই জাহাজ বা বিমানগুলোর আর কোনও হদিশ মেলে না।

এমনকী খুঁজে পাওয়া যায় না তাদের ধ্বংসাবশেষও।

হাজারো তত্ত্ব-তালাশ করেও, গত অর্ধ শতাব্দী ধরে যে ধাঁধার কোনও উত্তর মেলেনি,

সম্প্রতি তার জট খুলেছে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের।


সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে,

বারমুডা ট্র্যাঙ্গেলে সমুদ্রের একেবারে তলদেশে কয়েকটি সুবিশাল আগ্নেয়গিরি রয়েছে। তার জ্বালামুখ থেকে গলগল করে বেরিয়ে আসছে বিষাক্ত মিথেন গ্যাস। অসম্ভব রকমের গরম অন্যান্য গ্যাসও। ওই সুবিশাল আগ্নেয়গিরিগুলি থাকায় আর সেগুলো থেকে প্রচুর পরিমাণে মিথেনের মতো বিষাক্ত গ্যাস বেরিয়ে আসায় সমুদ্রের তলদেশে জলজ প্রাণীদের পক্ষেও বেঁচে থাকাটা সম্ভব হয় না। সেই মিথেন গ্যাসই সমুদ্রের তলদেশ থেকে উঠে এসে জলের ওপর বুদবুদ তৈরি করে। জলকে আরও ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে তোলে। গ্যাসে চার পাশ ঢেকে যায় বলে জাহাজের নাবিকের পক্ষে তো আর কিছু দেখা সম্ভব হয়ই না, এমনকি, তা কম্পিউটারের নেভিগেশান ব্যবস্থাকেও বিগড়ে দেয়। ফলে পথ হারিয়ে ফেলা ছাড়া জাহাজের নাবিকের আর কিছুই করার থাকে না। একই কারণে, পথ হারিয়ে ভেঙে পড়ে বারমুডা ট্র্যাঙ্গেলের ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়া বিমানও।


বিজ্ঞানীরা এও জানিয়েছেন, শুধুই যে সমুদ্রের তলদেশে থাকা আগ্নেয়গিরি থেকে ওই প্রচুর পরিমাণে মিথেন গ্যাস উঠে আসছে, তাই নয়। সমুদ্রের তলদেশে একেবারে শক্ত বরফ হয়েও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে মিথেন। আগ্নেয়গিরির লাভাস্রোতের গরমে তা গ্যাস হয়ে গিয়ে অসম্ভব রকমের গরম মিথেন গ্যাসের পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাতেই ঘটছে যাবতীয় বিপত্তি।

  • Twitter Social Icon
  • Facebook Social Icon
  • Google+ Social Icon
  • LinkedIn Social Icon
Follow
"SAREGAMA JUST IN"

  জনপ্রিয় সংবাদ সা রে গা মা

বাংলা গান সা রে গা মা

Print  / Press Ctrl+P
Saregama Bangla

Sa Re Ga Ma News Archive

Write Yours Comments. 

RSS Feed

Reproduction of any content, news or article published on this website is strictly prohibited Privacy. 

bottom of page