বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষিত তরুণদের অর্ধেক এখনো বেকার।
এ বছর ১ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেয়েছে। পাশের হার প্রায় ৯০ শতাংশ।
অভিনন্দন !
মিষ্টি খাওয়া শেষ হলে এবার একটু নিচের অংশটুকু মন দিয়ে পড়বেন প্লিজ :
বাংলাদেশে একদিকে তীব্র চাকরির সংকট, অন্য দিকে এই বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর ৪ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স বের হয়ে যায়। অর্থাৎ বাংলাদেশে কাজ করছেন এমন বিদেশীরা প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৩২ হাজার ৩৩২ কোটি টাকা নিয়ে চলে যাচ্ছেন। প্রতি মাসে ২ হাজার ৬১১ কোটি টাকা।
প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা করে দিলেও এই টাকায় আমরা বাংলাদেশের ৫ লাখ ২২ হাজার তরুণকে চাকরি দিতে পারতাম। তাতে ৫ লাখ ২২ হাজার পরিবারের মুখে হাসি ফুটত। অথচ বাস্তবতা হচ্ছে, বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষিত তরুণদের অর্ধেক এখনো বেকার।
মাসে ৫০ হাজার টাকার মতো বেতনের চাকরিও স্থানীয় উচ্চশিক্ষিত তরুণরা পাচ্ছে না। কিন্তু আমাদের শিক্ষার সূচক তো উচ্চমুখী। প্রতি বছর এত এত ছাত্র এত দুর্দান্ত ফল নিয়ে বের হচ্ছে। এইচএসসিতেও। এরপর এরাই তো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। সেখানে পড়াশোনা করে। অথচ আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো একটা বড় সংখ্যক কর্মী নিচ্ছে ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে।
কেন? সমস্যাটা কোথায়? আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় গুলো কি যথেষ্ট দক্ষ কর্মী তৈরি করতে পারছে না?
নাকি আমাদের শিক্ষার সূচক স্রেফ হাওয়াই মিঠাই?
আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে, সুযোগ থাকার পরও কেন বাংলাদেশে ৭–৮ লাখ উচ্চশিক্ষিত তরুণ আজ বেকার।
আসুন, আপাতত বাকি মিষ্টিটুকু খেয়ে ফেলি... স্যরি, এমন দিনে কাউকে হতাশ করতে চাইনি। কিন্তু বাস্তবতটা এখনই বুঝতে না পারলে, ভেতরের ফাঁপা জায়গাটা খুঁজে বের করতে না পারলে সামনে আরও কঠিন দিন অপেক্ষা করছে। অ–নে–ক কঠিন!
পোষ্ট টি লিখেছেন রাজীব হোসেইন (ABC Radio FM 89.2)