নারায়ণগঞ্জে স্কুল শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়
ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে স্থানীয় সংসদ সদস্যের উপস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জে স্কুল শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। সোমবার সকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের একথা জানিয়েছেন তিনি। এসময় তিনি আরও বলেন, শিক্ষকের সঙ্গে এমন আচরণ মেনে নেয়া যায় না এবং এটি বিব্রতকর। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘একজন শিক্ষককে এই রকম পরিস্থিতির মুখোমুখি করা কখনই কাম্য হতে পারে না। যে কেউ হোক একজন শিক্ষকের সাথে এই আচরণ করতে পারে না। যদি তিনি কোনও অপরাধ করে থাকেন কোনও ভুল করে থাকেন। অনেক শিক্ষকই ভুল করে থাকেন। আমরা তার ব্যবস্থাও নিয়ে থাকি। তবে তার একটা নিয়ম-কানুন আছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘কিন্তু একটা শিক্ষকের প্রতি এই ধরনের আচরণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য মনে করি না। এটার জন্য আমরা খুবই বিব্রত। আমরা এই বিষয়ে আরো তদন্ত করে যা যা করনীয় তাই করবো।’ প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তির বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগ এনে শুক্রবার দুপুরে তাকে লাঞ্ছিত, মারধর ও কান ধরে উঠবস করানো হয়। ঘটনার সময় সেখানে এমপি সেলিম ওসমান উপস্থিত ছিলেন। তবে পুরো বিষয়টি ‘পরিকল্পিত’ ছিল বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক। তার দাবি, ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে বিরোধের জের ধরেই ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে। ঘটনা তদন্তে গতকাল বন্দর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আ খ ম নুরুল আমিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।