কবি এলেন জাতীয় কবির মর্যাদায়।
ধানমণ্ডির কবি ভবনে বাঁ থেকে উমা কাজী, মিষ্টি কাজী, কবি কাজী নজরুল ইসলাম, বাবুল কাজী ও খিলখিল কাজী
কাজী নজরুল ইসলাম এমনই একটি নাম। যা উচ্চারণ করলে শরীরে এনে দেয় তারুণ্য। অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপসহীন সংগ্রামের কণ্ঠস্বর। তিনি ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম জনপ্রিয় পথিকৃৎ কবি, উপন্যাসিক, নাট্যকার, সঙ্গীতজ্ঞ ও দার্শনিক। পাশাপাশি প্রগতিশীল প্রণোদনার জন্য সর্বাধিক পরিচিত। বাংলা সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। প্রতিষ্ঠা পায় স্বাধীন রাষ্ট্রের। তখন স্বাধীনদেশের জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি। তিনি উদ্যোগ নিলেন কবিকে বাংলাদেশে নিয়ে আসার।
১৯৭২ সালের আজকের দিন ২৪ মে ভারত সরকারের অনুমতিক্রমে কবি নজরুলকে সপরিবারে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়। তারপর কবিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে জাতীয় কবির মর্যাদা দেওয়া হয়। আর ফিরে যাইনি নিজ জন্মভূমিতে। এখানেই কবি জীবনের শেষ সময়টা পার করে দেন।
১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সমাবর্তনে অনুষ্ঠানে কবিকে বাংলা সাহিত্য এবং সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ সম্মানসূচক ডি.লিট উপাধিতে ভূষিত করে।
১৯৭৬ সালের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ সরকার কবিকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করে। একই বছরের ২১ ফেব্রুয়ারিতে তাঁকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়। একুশে পদক বাংলাদেশের সবচেয়ে সম্মানসূচক পদক হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে।
এরপর যথেষ্ট চিকিৎসা সত্ত্বেও নজরুলের স্বাস্থ্যের বিশেষ কোন উন্নতি হয়নি। ১৯৭৪ সালে কবির সবচেয়ে ছোট ছেলে এবং বিখ্যাত গিটার বাদক কাজী অনিরুদ্ধ মৃত্যুবরণ করে। ১৯৭৬ সালে নজরুলের স্বাস্থ্যেরও অবনতি হতে শুরু করে। জীবনের শেষ দিনগুলো কাটে ঢাকার পিজি হাসপাতালে। ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দের ২৯ আগস্ট তারিখে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
আরও দেখুন ঃ