ইসলাম অবমাননায়, এ আর রহমান ও মাজিদিকে তওবা করে ক্ষমা চাইতে বলেছে রেজা অ্যাকাডেমি৷
ইরানের পরিচালক মাজিদ মাজিদির চলচ্চিত্র ‘মুহাম্মদ, দ্য মেসেঞ্জার অফ গড’ চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালনা করেছেন এ আর রহমান৷ কয়েকটি মুসলিম প্রধান দেশ এবং ভারতের মুসলমানদের তোপের মুখে পড়েছেন অস্কার জয়ী ভারতীয় এই সংগীত পরিচালক৷ মাজিদ মাজিদি চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন মুসলমানদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-র জীবনী অবলম্বনে৷ সে কারণেই মুসলিম বিশ্বের একাংশে দেখা দেয় অসন্তোষ৷
এ আর রহমানের বিরুদ্ধে মুসলমানদের একাংশের অভিযোগ, ‘মুহাম্মদ, দ্য মেসেঞ্জার অফ গড’ ছবির সংগীত পরিচালনা করে তিনি মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছেন৷
মুম্বইয়ের মুসলমানদের সংগঠন রেজা অ্যাকাডেমি এক বিবৃতিতে বলেছে, হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনীর চলচ্চিত্রায়ন অনৈসলামিক, কেন না, বাস্তব জগতে নবিজির অনুরূপ ফুটিয়ে তোলাকে ইসলাম সমর্থন করে না৷
বিবৃতিতে এ বলা হয়, আর রহমান এবং ‘মুহাম্মদ, দ্য মেসেঞ্জার অফ গড’ ছবির ইরানি পরিচালক মাজিদ মাজিদিকে তওবা করে ক্ষমা চাইতে হবে, বলেছে রেজা অ্যাকাডেমি৷ ভারতের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ধর্মপ্রাণ মুসলমান হিসেবে সুখ্যাতি থাকলেও ধর্মের প্রতি রহমানের অনুরাগ এবং বিশ্বাসকে তওবা করে পুনপ্রতিষ্ঠা করতে বলেছে রেজা অ্যাকাডেমি৷
এছাড়া সকল মুসলমানের প্রতি ‘মুহাম্মদ, দ্য মেসেঞ্জার অফ গড’ চলচ্চিত্রটি না দেখার আহ্বানও জানিয়েছে রেজা অ্যাকাডেমি৷ অ্যাকাডেমির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদরা মনে করেন, ইসলামের সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনী নিয়ে তৈরি করা চলচ্চিত্র দেখাও গুনাহর কাজ৷
রেজা অ্যাকাডেমির আহ্বানে দ্রুতই সাড়া দিয়েছেন এ আর রহমান৷ নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে জানিয়েছেন, ইরানে নির্মিত চলচ্চিত্রটিতে তিনি কারো মনে আঘাত দেয়ার জন্য সংগীত পরিচালনা করেননি৷ তাঁর মতে, ‘‘মানবজাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা, ভুল বোঝাবুঝি দূর করা এবং ‘দয়াশীলতাই জীবনের মূল কথা’ এমন একটি বার্তা সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার জন্যই ছবিটি নির্মাণ করা হয়েছে৷’’