দুস্থ,অসুস্থ শিল্পীদের সহায়তায় যাত্রা শুরু করল রেশ ফাউন্ডেশন!
দেশীয় সংগীতের প্রচার ও প্রসার, বিশুদ্ধ সংগীতচর্চা, সংগীতের সঙ্গে যুক্ত পেশাজীবী মানুষের জীবনতথ্য ছাড়াও বিভিন্ন সংকটে শিল্পীদের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগ গ্রহণের লক্ষ্য সামনে রেখে সংগীত পরিচালক ফরিদ আহমেদ গত বছরের ১৩ এপ্রিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রেশ নামে একটি গ্রুপ গড়ে তোলেন। এতে দেশের কণ্ঠশিল্পী, গীতিকবি, সুরকার-সংগীত পরিচালক ও যন্ত্র সংগীত শিল্পীদের ফটো আর্কাইভ করা হয়েছে। এতে রয়েছে তাঁদের ছবি ও সংক্ষিপ্ত পরিচিতি। ওই গ্রুপেরই প্রাতিষ্ঠানিক রূপ হলো রেশ ফাউন্ডেশন।
ক্লিক করুন : এই লিংঙ্কে রেশ (Resh) গ্রুপ
ফরিদ আহমেদ এর ভাষায় রেশ এর অর্থ হল “রেশ” ....... শ্রুতিমধুর যে কোনো সুরই মনের গহীনে বেজেই চলে অনেকটা সময় ধরে, একটা সুরেলা অনুভূতিতে হৃদয়কে আচ্ছন্ন করে রাখে, এটাই সুরের রেশ । বাংলাদেশের গানের ও সুরের রেশ পৃথিবীব্যপি ছড়িয়ে পরবে এটাই “রেশ” এর আশা ও উদ্দেশ্য । গীতিকবি, সুরস্রষ্ঠা, কন্ঠশিল্পী, যন্ত্রসঙ্গীত শিল্পী , শব্দগ্রাহক কিংবা শ্রোতা যিনি যেখানে যেভাবেই সংঙ্গীতের সাথে যুক্ত থাকুন না কেনো সবাই এখানে আমন্ত্রিত ।
রেশ ফাউন্ডেশন এর নেতৃত্বে আছেন কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন। গত ৪ জুন সরকারিভাবে এটি নিবন্ধিত হয়েছে। এতে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। এছড়াও বছর দুয়েক ধরে ডিসট্রেসড চিলড্রেন অ্যান্ড ইনফ্যান্টস ইন্টারন্যাশনালের (ডিসিআই) সঙ্গে যুক্ত আছেন সাবিনা ইয়াসমীন। এই প্রতিষ্ঠানের হয়ে তিনি দুস্থ শিশুদের জন্য কাজ করছেন। এ ছাড়া মাদকবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে যুক্ত আছেন ‘মানুষ’-এর সঙ্গেও। তাঁর নতুন এই সংগঠনটি নিয়ে সাবিনা বললেন, ‘গানের পাশাপাশি সামাজিক কাজকর্ম করার ইচ্ছা বহুদিনের। আমার সব সময় চেষ্টা থাকে দুস্থ ও অসুস্থ শিল্পীদের পাশে থাকার। রেশ ফাউন্ডেশন থেকে যখন আমাকে বলা হলো, কোনো কিছু চিন্তা না করে জানিয়ে দিলাম, তাদের সঙ্গে আছি।
শনিবার সন্ধ্যায় রেশ ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা সমবেত হয়েছিলেন। রেশ ফাউন্ডেশনের সভাপতি পদে আছেন সাবিনা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আহমেদ (সংগীত পরিচালক), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাসান মতিউর রহমান (গীতিকবি), সহ-সভাপতি ফরিদা ফারহানা (গীতিকবি), নির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান (যন্ত্রসংগীত শিল্পী), শাহনাজ বাবু (কণ্ঠশিল্পী), রবিউল ইসলাম জীবন (গীতিকবি ও সাংবাদিক), রিয়াজ আহমেদ (আইটি বিশেষজ্ঞ) এবং কোষাধ্যক্ষ জামালউদ্দীন চৌধুরী (সংগঠক)।