ফেসবুক পেজ ভেরিফাই করুন ! বাংলাদেশে শুরু হলো ফেসবুক পেজ ভেরিফিকেশন প্রসেস!
ফেসবুক পেজ ভেরিফাই করার জন্য অনেক চেষ্টা করেও যারা ব্যর্থ হয়েছেন, তাদের জন্য সুখবর। সম্প্রতি বাংলাদেশে শুরু হয়েছে ফেসবুক পেজ ভেরিফিকেশন প্রসেস। ভেরিফাইড পেজ এখন হতে পারে হাতের নাগালে !
ভেরিফাইড পেজ মানে হচ্ছে ফেসবুক কর্তৃক স্বীকৃত একটি ফ্যানপেজ, যার নামের পাশে নীল বা ধূসর রঙয়ের টিকচিহ্ন থাকে। যাকে বলা হয় ব্লু ব্যাজ (Blue Badge). আপনি যদি কোনো মিডিয়া ব্যক্তিত্ব হন, বা আপনার পরিচিত কোনো সেলিব্রেটি থাকে, তাহলে আপনি তার নামে একটি ফেসবুক পেজ বানিয়ে ভেরিফাই করে নিতে পারবেন। ফেসবুকে যদি আপনার ব্রান্ড, কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠানের কোনো ফেসবুক পেজ থাকে, সেটিও একইরুপে ভেরিফাইড হিসেবে স্বীকৃত করে নেয়া যাবে।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ পেজ ভেরিফাই করার ব্যাপারে একটি নিয়ম উল্লেখ করেছে। সেখানে একটি ভেরিফিকেশন ফর্ম পূরণ করে পেজ ভেরিফাই করার আবেদন জানানোর কথা বলা হয়েছে। আগেই বলে রাখছি, এই নিয়ম অনুসারে যত ডকুমেন্টসই সাবমিট করেন, এতে কোনো লাভ হবেনা। পেজ তো ভেরিফাই হবেই না। বরং পেজের রিচ কমে যেতে পারে। এই নিয়মটি আসলে শুধুমাত্র মন্ত্রণালয় বা সরকার কর্তৃক স্বীকৃত অফিসিয়াল রিপ্রেজেন্টেটিভদের জন্য।
অর্থাৎ ফেসবুক শুধুমাত্র ওই সকল অফিসিয়াল রিপ্রেজেন্টেটিভ পারসন বা পেজ ভেরিফিকেশন এজেন্টদের আবেদন গ্রহণ করে ! বাংলাদেশি ভেরিফিকেশন এজেন্টদের দিয়ে আপনি আপনার পেজ ভেরিফাই করিয়ে নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই একটি ‘হাই সিকিউরিটি’ সম্পন্ন সার্টিফাইড ওয়েবসাইট লাগবে, যা ওই এজেন্টই আপনাকে বানিয়ে দিবে। এজেন্ট আপনার পেজ ভেরিফিকেশন এর জন্য সাবমিট করার ১৪ থেকে ২১ দিনের মাঝে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ পেজটি ভেরিফাই করে দিবে।
ফেসবুক পেজ ভেরিফাই করার নিয়মটি আমরা নিচে উল্লেখ করছি (ভেরিফিকেশন এজেন্টদের জন্য) –
ফেসবুক প্রোফাইল বা পেজে অফিশিয়াল ওয়েবসাইট যোগ করা।
ওয়েবসাইটে প্রোফাইল বা পেজের লিংক রাখা।
পাবলিক ফিগার পেজের ক্ষেত্রে পেজের ক্যাটাগরির সাথে উইকিপিডিয়া বা অন্যান্য তথ্যসুত্রের রেফারেন্স ওয়েবসাইটে মেটা ট্যাগ করা।
প্রোফাইেল অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের ডোমেইন থেকে বানানো ইমেইল এড্রেস যোগ করে ইমেইলটি ভেরিফাই করা।
পেজটি আইফোন এর ম্যানশন এ্যাপস দিয়ে অথেন্টিক করা।
পেজের প্রশাসক বা এডমিন হলে তার অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের ডোমেইনের ইমেইল ফেসবুকে যুক্ত রাখা।
পেজের এবাউট (About) অংশটি সম্পূর্ণভাবে পূরণ করা।
এই ধাপগুলো অনুসরণ করার সঙ্গে সঙ্গেই যে প্রোফাইল বা পেজে ভেরিফাইড হয়ে যাবে, তা কিন্তু নয়। আগেই বলা হয়েছে সাধারণ ইউজাররা এভাবে পেজ ভেরিফাই করতে পারবেন না। এটা শুধুমাত্র ভেরিফিকেশন এজেন্ট বা পাওয়ার ইউজারদের জন্য। বাংলাদেশের বেশিরভাগ ক্রিকেটারদের পেজই ইন্ডিয়া থেকে ভেরিফাই করিয়ে আনা হয়। তবে অন্যান্য সেলিব্রেটি, মিউজিশিয়ান বা রাজনীতিবিদদের পেজ ভেরিফাই করার জন্য বাংলাদেশেই একটি টিম রয়েছে।
২০১৫ থেকে চলতি ২০১৬ সাল পর্যন্ত দেশীয় ফেসবুক পেজগুলো ভেরিফাই করার কাজে টিভি চ্যানেল সহ অন্যান্য সবধরণের মিডিয়া ও নিউজ প্রোভাইজার পেজগুলোকে সহায়তা করছে কাজী নিপু ও তার সংস্থা।
আপনার পেজ ভেরিফাই করার জন্য যোগাযোগ করে নিতে পারেন Kazi Nipu এর ফেসবুক পেজের ইনবক্সে।