হিমাচলের এই নৈস্বর্গিক লেকের সঙ্গে জড়িয়ে আছে অলৌকিক সব কাহিনি!
যে দিকে নজর যায় শুধুই পাহাড়। সবুজ ঘাসে মোড়া এক উপত্যকা। আর তার মাঝেই সৌন্দর্যের ডালি সাজিয়ে বসে আছে এই লেক। অলৌকিক সব কাহিনিতে সমৃদ্ধ এই লেক,
হিমাচলের কোলে মান্ডি। আর সেই মান্ডির ধৌলাধর রেঞ্জের কোলে সবুজ উপত্যকার মাঝে এই লেক। যার নাম ‘প্রশার লেক’ বা ‘পরাশর লেক’। মনে করা হয় এই লেকের ধারে আজও ধ্যানে মগ্ন হয়ে আছেন ঋষি পরাশর। অপরূপে প্রাকৃতিক শোভার ডালি সাজিয়ে থাকা এই লেককে ঘিরে রয়েছে এক অনবদ্য কাহিনি। যার সঙ্গে জড়িয়ে আছেন পাণ্ডবরা।
কনুইয়ের মতো দেখতে এই লেক
এই লেক তৈরির ইতিহাস নিয়ে যা কথিত আছে তা এরকম, কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের সমাপ্তির পর এই স্থান দিয়ে যাচ্ছিলেন পাণ্ডবরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন ভগবান কামরুনাগ। এই এলাকার প্রাকৃতিক শোভায় মুগ্ধ হয়ে যান কামরুনাগ। তিনি স্থির করেন এখানেই থেকে যাবেন। কিন্তু, এলাকায় নেই কোনও জলের ব্যবস্থা। তাই পঞ্চপাণ্ডবদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বলশালী ভীম উদ্যোগী হলেন কামরুনাগের জন্য জলের ব্যবস্থা করতে।
লেকের ধার দিয়ে রয়েছে এমনই সব প্যাগোডা
স্থানীয়দের বিশ্বাস, ভীম তাঁর এক হাতের কনুই দিয়েই একটি পাহাড়ের মাথা ভেঙে ফেলেন এবং সেখানে একটি ছোট্ট পরিখা তৈরি করে দেন। পরেই সেই লেকের নাম হয় প্রশার লেক। আর এই উপত্যকার নাম হয় ভগবান কামরুনাগের নামে কামরু ভ্যালি। এমনকী, প্রশার লেককে অনেকে কামরুনাগ লেক বলেও ডাকে।
বরফের স্তূপের মাঝে এই লেক
ভীমের কনুই দিয়ে এই লেকের জন্ম হয়েছে বলে দাবি করা হলেও স্থানীয়দের বিশ্বাস প্রশার লেকের তল মাপতে যাওয়া ভুল। কারণ, এই লেক কতটা গভীর তা আজ পর্যন্ত সঠিকভাবে কেউ ঠাহর করতে পারেননি। একমাত্র শীতকালে এই লেকের জল জমে যাওয়া ছাড়া সারা বছরই এখানে জল টলটল করে। প্রশার লেক ট্রেকারদের কাছেও যথেষ্ট জনপ্রিয় রুট। দেশবিদেশ থেকে বহু অভিযাত্রী আসেন প্রশার লেকে ট্রেক করতে। তারপর এই রুটে পীর পাঞ্জল, কিন্নুর শিখর থাকায় প্রশার লেকের আকর্ষণ আরও বেড়ে গিয়েছে।