বর্তমান সময়ে বাংলা চলচ্চিত্রে একজন নবাগত খলনায়ক আলী আমজাদ এর পথচলা।
আলী আমজাদ বাংলা চলচ্চিত্রে বর্তমান সময়ের একজন নবাগত খলনায়ক ।
২০১২ সালে বর্ষীয়ান চলচ্চিত্র পরিচালক জনাব দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর হাত ধরেই তার প্রথম চলচ্চিত্রে পদার্পন।
ইতিমদ্ধ্যেই তিনি বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে ব্যাপক দর্শক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন।
বয়েসে তরুন মেধাবী আলী আমজাদ একজন সফল ব্যাবসায়ী এবং কম্পিউটার বিজ্ঞানী।
ঢাকার অধিবাসী আলী আমজাদের পিতা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন বেসামরিক কর্মকর্তা ছিলেন, বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত। তার লেখাপড়া ঢাকা ক্যান্টনমেন্টস্থ সেনাপল্লী হাইস্কুল এবং এইচ এস সি পাশ করেন ঢাকা তেজগাঁও কলেজ হতে, তারপর মাষ্টার্স সম্পন্ন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হইতে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে।
এরপর থেকেই কম্পিউটার এর সাথে সক্ষতা তার, মেধাবী আলী আমজাদ নিজেই সৃষ্টি করেন কাজের ক্ষেত্র ও পরিবেশ।
সেই চেষ্টারই ফসল, ঢাকার মিরপুরে “সিলিকন কম্পিউটার ভেলী” নামক কম্পিউটার ইনিষ্টিটিউট। “সিলিকন কম্পিউটার ভেলী” কম্পিউটার ইনিষ্টিটিউট টি গত পনের বছর যাবৎ তিনি পরিচালনা করে আসছেন ।
যেখান থেকে প্রশিক্ষন প্রাপ্ত অনেক শিক্ষার্থী প্রতি বছর প্রযুক্তি বিষয়ক বিভিন্ন কর্মকান্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত করছে।
এক বিশেষ সাক্ষাতকারে, তিনি সারেগামাকে তার চলচ্চিত্রে পথচলার কথা বলেন। তিনি বলেন,
সরকারী অনুদানের ছবি “হেডমাষ্টার” ছবির মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রে পদার্পন। এর পর গাজীউর রহমানের “এই তুমিই সেই তুমি”, বর্তমানের জনপ্রিয় পরিচালক সাফি উদ্দিন সাফির “ভালবাসা এক্সপ্রেস”, দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর “এপার ওপার” ৫২ থেকে ৭১, মুকুল নেত্রবাদীর “বাবা মার সন্তান” ড্যানী সিডাকের “কাসার থালায় রূপালী চাঁদ” সাজ্জাদ হায়দারের “হৃদয় ছোয়ার দিন”
সহ প্রায় ডজন খানেক ছবিতে ইতিমধ্যেই অভিনয় করেছেন তিনি।
যার মুক্তিপ্রাপ্ত কয়েকটিতেই দর্শক হৃদয় ব্যাপক সাড়া ফেলতে পেরেছেন তিনি।
আলী আমজাদকে এই চলচ্চিত্রের জগতে আসার প্রেক্ষাপট জানতে চাইলে বলেন, “আমি যদিও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাষ্টার্স করেছি কিন্তু এর পাশাপাশি আমি কম্পিউটারের উপরও ডিপ্লোমা করেছি এবং এই কম্পিউটার ব্যবসার সহিত জরিত থাকার কারনে চলচ্চিত্রের লোকজনের সাথে মেলবন্ধন তৈরী হয় কেননা বর্তমানে চলচ্চিত্রের সকল ধরনের কাজ করা হয় কম্পিউটার ও এর সাথে সম্পৃক্ত যন্ত্র ও যন্ত্রাংশ দিয়ে। তাদেরই কয়েকজনের অনুরোধ ধীরে ধীরে এ জগতের পদার্পন।”
আলী আমজাদ আরো বলেন, সৃষ্টিকর্তা আমাদের অসীম জ্ঞান ও মেধা দিয়ে এই পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন আমাদের প্রত্যেকের উচিৎ যেকোন ভাবেই হউক সেই জ্ঞানের যথার্থ ব্যবহার করা।”
সৃষ্টিশীল যেকোন কিছু করা আলী আমজাদের ছোটবেলা হইতেই স্বভাব। তাছাড়া এখানে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করা যায়। সেলেব্রেটি জীবনটা তার নিকট অত্যান্ত রোমাঞ্চকর বিষয় বলে মনে করেন তিনি।
চলচ্চিত্রে কার নিকট ঋণী এটা জানাতে একবাক্যে শ্রদ্ধেয় বর্ষীয়ান পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর নাম বলেন আলী আমজাদ।
মূলক এই বর্ষীয়ান পরিচালকের মাধ্যমেই অভিনয়ের অনেক না জানা বিষয়গুলো রপ্ত করেন তিনি।
এছাড়া সে নাচ, ফাইট ও অভিনয়ের উপর তালিম নিয়েছেন সহকারী পরিচালক শ্রী শুভাস দাস শুভ এর নিকট।
চিরকুমার আলী আমজাদ চার ভাই আর দুই বোনের মধ্যে তৃতীয়।
অনাগত ভবিষ্যত এর পথচলায় সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী
আলী আমজাদ।
সারেগামা ডেস্ক।।