স্পেসএক্স রকেট উৎক্ষেপণের সময় বিধ্বংসী বিস্ফোরণ ক্ষতিগ্রস্ত ফেসবুক স্যাটেলাইট দেুখুন ভিডিও!
কেপ ক্যানাভেরাল (ফ্লোরিডা) : কেপ ক্যানাভেরালের প্রধান লঞ্চপ্যাডে বিধ্বংসী বিস্ফোরণ। ধ্বংয় হয়ে গেল রকেট এবং একটি স্যাটেলাইট। আফ্রিকায় ইন্টারনেটের প্রসারে ওই স্যাটেলাইটকে ব্যবহারের পরিকল্পনা করেছিল সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ফেসবুক। বিস্ফোরণের ভয়াবহ ছবি ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। যদিও এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই। উৎক্ষেপণের আগে রুটিন রকেট ইঞ্জিন টেস্টের আগে সব কর্মীদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। স্পেসএক্স-এর প্রধান এলোন মাস্ক বলেছেন, রকেটে জ্বালানি ভরার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে। রকেটের ওপরের স্তরের অক্সিজেন ট্যাঙ্কে বিস্ফোরণ ঘটে। যদিও দুর্ঘটনার কারণ জানা যায়নি।
বেশ কয়েক মাইল দূর থেকে এই বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা গিয়েছে। এই দুর্ঘটনা স্পেসএক্সের কাছে বড় ধাক্কা। গত বছর প্রথম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের সময় যে দুর্ঘটনা ঘটেছিল, তার ক্ষতি এখনও মেরামত করা সম্ভব হয়নি। স্যাটেলাইট ডেলিভারির লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি সংস্থাটি। একইসঙ্গে এই দুর্ঘটনা নাসার কাছেও একটা ধাক্কা। কারণ, ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে মহাকাশচারী এবং জিনিসপত্র সরবরাহের জন্য নাসা বেসরকারি মহাকাশ সংস্থাগুলির ওপর নির্ভর করছিল। কেপ ক্যানাভেরালের এয়ার ফোর্স স্টেশনে মানবহীন ফ্যালকন রকেট উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি নিচ্ছিল স্পেসএক্স। এরইমধ্যে এই বিস্ফোরণ ঘটে।
স্পেসএক্স রকেট বিস্ফোরণের সময় ফেসবুকের স্যাটেলাইট ধ্বংস হয়ে যাওয়ার কারণে মার্ক জাকারবার্গ দুঃখ প্রকাশ করেন। ফেসবুক আশা করেছিল যে নতুন অ্যাকুইলা কৃত্রিম উপগ্রহ (স্যাটেলাইট) বর্তমানে যোগাযোগহীন এলাকাগুলোর মানুষের জন্য ইন্টারনেট সরবরাহ করতে পারবে। কিন্তু বিস্ফোরণের সময় পেলোডটি হারিয়ে যায় এবং স্পেসএক্সের ওপর থাকা সবকিছু নষ্ট হয়ে যায়।
স্যাটেলাইট হারানোর খবর শুনে ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা খুবই হতাশা প্রকাশ করেন। তিনি জানান স্যাটেলাইটটি তৈরি করা হয়েছিল একটি ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে। এর উদ্দেশ্য ছিল আরও মানুষকে ইন্টারনেট ও ফেসবুকের সঙ্গে সংযুক্ত করা।
মার্ক জাকারবার্গ লিখেছিলেন, ‘আমি এখন আফ্রিকায়, আমি গভীরভাবে হতাশ আমাদের স্যাটেলাইট ধ্বংসের খবরটা শুনে। স্যাটেলাইটটি বহু উদ্যোক্তা এবং এই মহাদেশের প্রত্যেককেই সংযুক্ত রাখত।’
তিনি আরও লেখেন, ‘সৌভাগ্যবশত, আমরা অ্যাকুইলার মতো অন্য প্রযুক্তি তৈরি করছিলাম মানুষকে যুক্ত রাখতে। আমরা সবাইকে সংযুক্ত রাখার লক্ষ্যে দৃঢ়। আর আমরা আমাদের কাজ অব্যাহত রাখব যত দিন না প্রত্যেকে এই স্যাটেলাইটের সুবিধা উপভোগ করে।’
বিস্ফোরণটিকে মহাকাশ প্রকৌশলীদের অনিয়ম হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে এবং এখন পর্যন্ত এর কারণ সম্পর্কে পরিষ্কার কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ দুর্ঘটনায় কেউই আহত হয়নি কিন্তু প্রচুর আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জাকারবার্গ উল্লেখ করেছিলেন যে এই দুর্ঘটনায় প্রচুর আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। তাই তাঁর এক ফলোয়ার জিজ্ঞেস করেছিলেন, এই জিনিসের ওপর কী ধরনের বিমা করা হয়েছিল?
উত্তরে মার্ক জাকারবার্গ জানান, এ ক্ষেত্রে অর্থটা বিষয় না, বিষয় হচ্ছে মানুষকে সংযুক্ত করতে আরও অনেকটা সময় লেগে যাবে।