সুরের যাদুকর স্বর্ণকণ্ঠ ওস্তাদ নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরী।
‘জীবনানন্দ হয়ে’, ‘আজ এই বৃষ্টির কান্না দেখে’, ‘কিছু লোক কিছু কথা বলবে’, ‘সুখ আমার সুখ পাখি’র মতো বেশকিছু কালজয়ী গানের ধ্রপদী সংগীতের শিল্পী ওস্তাদ নিয়াজ মোহাম্মাদ চৌধুরী নিভৃতচারী থেকেছেন আজীবন। কোন এক অজানা অভিমানে দর্শক মিডিয়ায় এসেছেন খুব কম সময়। তার কালজয়ী গানের সাথে পরিচিত হাজারও শ্রোতা থাকলেও তার লাইভ শো দেখার সৌভাগ্য খুব কম শ্রোতারই হয়েছে।
গতকাল অনেকদিন পর দর্শক-শ্রোতাদের গান শোনালেন তিনি। (১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ইং ) রাত ১০টায় দেশ টিভির ‘মিউজিক্যাল লাইভ’ অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করলেন নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরী।
এবারের ঈদের তৃতীয় দিন গান শোনানোর পাশাপাশি অনুষ্ঠানে দর্শক-শ্রোতাদের সঙ্গে সরাসরি ফোনে কথাও বললেন তিনি। গাইলেন অনুরোধের গান।
কাবেরী নদী জলে কে গো বালিকা ... দেশ টিভিতে নজরুল সংগীত গাইলেন বাংলাদেশের ওস্তাদ নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরী ।
‘জীবনানন্দ হয়ে সংসারে আজও আমি, সবকিছু ভুলে যেন করি লেনদেন’ গীতিকার: শওকত ওসমান বাবু সুরকার: মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ।
‘আজ এই বৃষ্টির কান্না দেখে, মনে পড়লো তোমার অশ্রু ভরা দুটি চোখ’ গীতিকার: কাউসার আহমেদ চৌধুরী সুরকার: লাকী আখন্দ।’
এক তাজমহল যাব যে গড়ে তোমার প্রেমের সমাধিকে নিয়ে’, ’সুখ আমার শুকতারা দূর থেকে করে ইশারা’, ‘এক ফোঁটা বিষ আজ আমার তিয়াস প্রিয়া মেটাবে’ গীতিকার: শওকত ওসমান বাবু।
‘রাঙ্গামাটির রঙ্গে চোখ জুড়ালো সাম্পান মাঝির গানে মন ভরালো’ ’ ‘নদী মিশে সাগরে সাগর মিশে আকাশে, শুধু তুমি মিশে আছ মোর অন্তরে’ গীতিকার ও সুরকার: শহিদুজ্জামান স্বপন।
‘কিছু লোক পিছু কথা বলবেই, অপবাদ হবে অভিযোগ দেবে, তবু ভালবাসার আলো জ্বলবেই’
এমন বেশকিছু শ্রোতাপ্রিয় ও হৃদয়স্পর্শী গানের শিল্পী ওস্তাদ নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরী।
উপমহাদেশের প্রখ্যাত এই রাগ সঙ্গীত শিল্পীর গান মানেই আজও শ্রোতাদের মনে এক অন্যরকম দোলা দিয়ে যাওয়া। বিশেষ করে উচ্চাঙ্গসঙ্গীতে যার দখল অতুলনীয়। প্রকৃতার্থেই যারা সঙ্গীত বোঝেন অর্থাৎ সুরের প্রকৃত সমঝদার যারা, তাদের অনেকেরই প্রিয় শিল্পী তিনি। বর্তমান সময়ের অনেক প্রতিষ্ঠিত শিল্পীরও প্রিয় শিল্পী ওস্তাদ নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরী। অনেকেই আবার তাঁর কাছে তালিম নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন সঙ্গীতাঙ্গনে। দরাজ কণ্ঠের অধিকারী এই শিল্পীর প্রতিভার জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। আশির দশকের শুরু থেকে নব্বই দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত দোর্দান্ত প্রতাপে বাংলাদেশের সঙ্গীত জগৎ শাসন করে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতকে এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন তিনি। নিজের সমস্ত প্রতিভা, সমস্ত সৃষ্টি সংগীত পিয়াসীদের জন্য উজাড় করে দিয়েছেন। বাংলাদেশের সব শ্রেণির শ্রোতার কাছে গ্রহণযোগ্য শিল্পীর তালিকায় আছে তাঁর নাম। ওস্তাদ নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরী আমার অত্যন্ত প্রিয় একজন শিল্পী। সেই ছোটবেলা থেকে তাঁর গান শুনে আসছি। কি তার গানের কথা! কি তাঁর সুর!! কি তাঁর কণ্ঠ!!! যেন সৃষ্টিকর্তা তাঁর সমস্ত সুধা ঢেলে দিয়েছেন ওস্তাদ নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরীর কণ্ঠে। তিনি যা গাইছেন সেটাই যেন গেঁথে যাচ্ছে হৃদয়ের মাঝে। আমার মত আরও অনেকেই আছেন যারা এই গুণী শিল্পীর ভক্ত ও একনিষ্ঠ শ্রোতা।
ওস্তাদ নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরীর জন্ম ১৯৫২ সালের ১৩ই জানুয়ারী নরসিংদীর শিবপুর থানার খৈনকুট গ্রামে। ছোটবেলা থেকেই ছিল গানের প্রতি তাঁর মারাত্মক ঝোঁক। শৈশবে সঙ্গীতে তাঁর হাতেখড়ি হয় ওস্তাদ মরহুম আয়াতুল্লাহ খানের কাছে। সঙ্গীতে যখন তিনি মোটামুটি পারদর্শী হয়ে ওঠেন ঠিক সেই সময় থেকে প্রশিক্ষণ নেন পাক-ভারত উপমহাদেশের পাটিয়ালা ঘরানার দিকপাল ওস্তাদ আমানত আলী খান ও ওস্তাদ ফতেহ আলী খান-ভ্রাতৃদ্বয়ের কাছে। ওস্তাদ নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরী আমাদের সঙ্গীত জগতে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র এবং একজন উচ্চমানের গুণী শিল্পী। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি কিছুদিন ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনে লেকচারার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ওস্তাদ সৈয়দ জাকির হোসেন এর মেয়ের জামাতা ওস্তাদ নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরী। তাঁর সহধর্মিনী সাবরা নিয়াজ চমৎকার গান করেন। সুর সম্রাট ওস্তাদ জাকির হোসেনের কন্যা তিনি। ঠুমরী, দাদরা ও গজল গায়কদের গুরু এবং শুদ্ধ সঙ্গীত প্রসার গোষ্ঠীর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সুর সম্রাট ওস্তাদ সৈয়দ জাকির হোসেন আজীবন সম্মাননা পেয়েছিলেন ১৯১১ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি। ঐদিন সন্ধ্যায় ঢাকার ছায়ানট ভবন মিলনায়তনে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে গুণী এই ব্যক্তিত্বকে আজীবন সম্মাননা দেয়া হয়। উল্লেখ্য, সৈয়দ ওস্তাদ জাকির হোসেন প্রয়াত হয়েছেন ২০১১ সালের ৫ নভেম্বর।
ওস্তাদ নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরীর ছেলে ফাইয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরী বাংলাদেশের একজন ক্ল্যাসিক শিল্পী। মেয়ে মেহনাজ চৌধুরী বারখাও একজন গুণী শিল্পী। দেশের বাইরে তিনি সর্বপ্রথম সঙ্গীত পরিবেশন করেন ১৯৭৯ সালের মার্চ মাসে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায়। বহু দেশে তিনি নিজের দেশের সঙ্গীতকে তুলে ধরেছেন সম্মানের সাথে। এই রাগসঙ্গীত শিল্পী প্রথম প্লে-ব্যাক করেন এহতেশাম পরিচালিত ‘গীত কাহি সংগীত কাহি’ ছবিতে। এরপর তিনি ‘নতুন বউ’, ‘দিওয়ানা’, ‘দেনা-পাওনা’, ‘চকোরী’ ও ‘মিস সুন্দরী বাংলাদেশ’ ছবিতে প্লে-ব্যাক করেন। ওস্তাদ নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরী প্রচুর গজল গেয়েছেন। ষাটের দশকে পাকিস্তানের চলচ্চিত্রে অনেক উর্দু গান গেয়েছেন।
ওস্তাদ নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরীর সর্বশেষ অ্যালবামটি ছিল স্বপনে। এরপর পেরিয়ে গেছে ২৫ বছর। আসেনি তাঁর কোন নতুন অ্যালবাম। তারও প্রায় একযুগ আগে বের হয়েছিলো এই শিল্পীর গাওয়া গান নিয়ে ‘জীবনানন্দ’ নামের একটি অ্যালবাম। এ ছাড়া বাজারে আছে ‘আধুনিক বাংলা গান-১’ নামের একটি অডিও ।
গত তিন বছর আগে জি-সিরিজ থেকে প্রকাশিত হয় তার একক অ্যালবাম ‘ওস্তাদ নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরী’। তার একক অ্যালবাম ‘ওস্তাদ নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরী’ বলা যায় এটাই তাঁর প্রথম একক অ্যালবাম।
এ বিষয়ে নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরী বলেন, “দীর্ঘ সংগীত জীবনে আমি কখনও অ্যালবামের জন্য গান রেকর্ড করিনি। প্রায় একযুগ আগে বের হয়েছিল ‘জীবনানন্দ’ নামের একটি অ্যালবাম। ‘আধুনিক বাংলা গান-১’ শিরোনামের একটি অডিও ক্যাসেট বাজারে আছে। তবে এগুলোকে একক অ্যালবাম হিসেবে মনে করছি না। কারণ, ওই অ্যালবামের সবকটি গানই রেডিও টেলিভিশন থেকে সংগৃহীত হয়েছে। সেই অর্থে এবারই প্রথম আমি একক অ্যালবামের জন্য ভেবেচিন্তে সময় নিয়ে গান রেকর্ড করি। তাই বলতে পারেন এটাই আমার প্রথম একক।”
অ্যালবামে মোট নয়টি গান আছে। ওস্তাদ নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরীর ছদ্মনাম অর্পিয়াস। এ অ্যালবামে তিনি তার ছদ্মনাম ব্যবহার করে সব কটি গানের সুর করেছেন এবং ছয়টি গানের কথা লিখেছেন। বাকি তিনটি গান লিখেছেন মুন্সী ওয়াদুদ, মনিরুজ্জামান মনির ও ফয়সাল আহমেদ। তার এই অ্যালবামের গানগুলো হচ্ছে- ‘ঝরঝর বৃষ্টি তুমি ঝরো না, ডেকো না পিছু ডেকো না, চলে গেছে যে, গভীর রাতে সূর্য খুঁজি, ফিরায়ে দিয়েছো ফিরে চলে যাই, হারানো দিনের স্মৃতি, যেয়ো না গো তুমি, হৃদয়ের কান্না শুনতে চেয়ো না, তুমি কি জানো না।’ প্রতিটি গানেই উচ্চাঙ্গের ছোঁয়া রয়েছে। আছে কাহারবা, রূপক, ঝাঁপ প্রভৃতি তাল। প্রায় একযুগ আগে বের হয়েছিল ‘জীবনানন্দ’ নামের একটি অ্যালবাম। ‘আধুনিক বাংলা গান-১’ শিরোনামের একটি অডিও ক্যাসেট বাজারে আছে। ‘জীবনানন্দ’ অ্যালবামে তাঁর যে গানগুলো রয়েছে, তার সব ক’টিই বাংলাদেশ বেতার এবং বাংলাদেশ টেলিভিশন থেকে সংগ্রহ করে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান অ্যালবাম আকারে বের করেছিল। তবে এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটি তাঁর অনুমতিও নিয়েছিল।
এ দেশে এমন অনেক শ্রোতাই আছেন যারা কেবলই অডিওতে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের শিল্পী ওস্তাদ নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরীর গান শুনেছেন, মুগ্ধ হয়েছেন, আর সেই মানুষটির গায়কীর প্রশংসা করেছেন অকুণ্ঠচিত্তে। কিন্তু খুব কমই তারা দেখেছেন তাদের নিভৃতচারী এই শিল্পীকে টিভি পর্দায়। তাই তার গান শোনার প্রতি শ্রোতাদের যেমন বছরের পর বছর এক ধরনের ব্যাকুলতা কাজ করেছে, ঠিক তেমনি টিভি পর্দায় তার কণ্ঠে গাওয়া গান দেখার জন্যও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেছেন। কিন্তু তার গান শুনেই শুধু শ্রোতাদের সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে।
১৯৮৫ সালে বিটিভিতে প্রথমবারের মতো একটি অনুষ্ঠানে ওস্তাদ নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরীকে দেখা গিয়েছিল। “আমার যত গান” নামে একটি অনুষ্ঠানে। সে অনুষ্ঠানটির উপস্থাপক ছিলেন ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল।
কিছুদিন আগে এই রাগসঙ্গীত শিল্পী দীর্ঘ দুই যুগ পর টিভিতে একক সঙ্গীতানুষ্ঠান করলেন। এর মধ্যে এটিএন বাংলা ও দেশ টিভিতে একটি করে একক সঙ্গীতানুষ্ঠান প্রচারিত হয়েছে। বৈশাখী টেলিভিশনে তার ছেলেকে নিয়ে গেয়েছেন ”সময় কাটুক গানে গানে” অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেছিলেন নকীব খান।
ওস্তাদ নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরী ২০০৬ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনের ইত্যাদি অনুষ্ঠানে সপরিবারে গাইলেন ”কবিতার মত মেয়েটি, গল্পের মত ছেলে, উপন্যাস হবে সহধর্মিণী এমন যদি মেলে’ তার নিজের লেখা ও সুর করা গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন তাঁর সহধর্মিণী সাবরা নিয়াজ, মেয়ে মেহনাজ চৌধুরী বারখা এবং ছেলে ফাইয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরী।
এরপর বেশ কয়েক বছর পর ইসমাইল খন্দকাররের উপস্থাপনায় পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে “আড্ডা” নামে বিটিভির একটি সঙ্গীতানুষ্ঠানে গান গাওয়ার মধ্য দিয়ে আবারো দর্শকের সামনে হাজির হলেন গুণী এই সঙ্গীত শিল্পী। তবে ওস্তাদ নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরী একা নন তার সঙ্গে একই মঞ্চে গান গেয়েছেন শিল্পীর যোগ্য উত্তরসূরি ফাইয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানের শুরুতেই ওস্তাদ নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরী ও তাঁর ছেলে ফাইয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরী একটি খেয়াল বান্দিশ পরিবেশন করেন। এর পর “মোরা সাইয়া মোসে বলে না” ঠুমরীর আঙ্গিকে আবর্তিত যে ধরনের গান উপমহাদেশের প্রথিতযশা শিল্পীরা গেয়েছেন সেই সব গানের মধ্য থেকে কিছু কিছু গানের মুখ ও কিছু কিছু গানের অন্তরা গেয়েছেন ফাইয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরী। এরপর নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরী আবারো দুটো গান পরিবেশন করেন। সবশেষে পাটিয়ালা ঘরানার পূর্ব পুরুষদের ওস্তাদ তানরস খান ধ্রুপদের যে বান্দিশটি সম্রাট জাহাঙ্গীরের নামে সম্রাট আকবরকে তথা পুরো মুঘল সাম্রাজ্যকে উপহার দিয়েছিলেন সেই বান্দিশটিই পরিবেশন করেন ওস্তাদ নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরী ও তাঁর ছেলে। আর এরই মধ্য দিয়ে শেষ হয় ”আড্ডা” নামক অনুষ্ঠানটি।
স্বর্ণকণ্ঠ নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরীর বিশেষত্ব তার গায়নভঙ্গি। এই কালজয়ী শিল্পী যখনই যা গাইছেন শ্রোতারা মুগ্ধ হয়ে তার গান শুনছেন। প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ওস্তাদ নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরী ২০০২ সালে দ্বিতীয় উত্তর আমেরিকা নজরুল সম্মেলনে যে সব গান গেয়েছিলেন তা হয়তো অনেকেরই জানা নেই। প্রিয় কবির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলছি, গানগুলো হলো-- ১) ভরিয়া পরাণ শুনিতেছি গান ২) আমি পথ মঞ্জরী ফুটেছি আঁধার রাতে ৩) শাওন আসিল ফিরে সে ফিরে এল না ৪) শুভ্র সমুজ্জল হে চির নির্মল ৫) কাবেরি নদী জলে কে গো বালিকা ৬) আজি ঘুম নহে ৭) বন পথে কে যায়। জীবনের এই সময়ে এসে ওস্তাদ নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরী তাঁর একমাত্র নাতনি ‘মানহা’র সঙ্গে কাটানো সময়টুকু ভীষণভাবে উপভোগ করেন।
Niaz Mohammad Chowdhury is a prolific classical and modern singer of Bangladesh as well as sub-continent. Born in 1952, Jan 13, Niaz Mohammad Chowdhury showed talent in music from very childhood...
At a very young age, he received his first trainings from Ustad Ayatullah Khan. Later on he was trained by the Legendary Ustad Amant Ali Khan and Ustad Fateh Ali Khan of Patiala Gharana of Pakistan. Niaz Mohammad Chowdhury has performed in several countries all over the world and awarded with significant honors. Beside performances, Niaz Mohammad Chowdhury used to be lecturer at University
of California Los Angeles (UCLA) during 1992