শুরু হচ্ছে লোকসংগীত উৎসব(ফোকফেস্ট)
বাংলাদেশসহ বিশ্বের সেরা লোকসংগীত শিল্পীদের পরিবেশনায় আর্মি স্টেডিয়ামে নভেম্বরের মাসের ১০ তারিখ থেকে ১২ তারিখ পযর্ন্ত অনুষ্ঠিত হবে ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক লোকসংগীত উৎসব ২০১৬’য়ের আসর।
২০১৫ সালের সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখে দ্বিতীয় বারের মত শুরু হচ্ছে এই উৎসব। এ উপলক্ষে শনিবার সকালে রাজধানীর গুলশান-২ এর একটি পাঁচতারকা হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনটিকে উপস্থিত ছিলেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়্যারম্যান আবুল খায়ের, সান ইভেন্টস এর চেয়্যারম্যোন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী, গ্রামীন ফোনের অ্যাকটিং সিইও ও চীফ মার্কেটিং অফিসার ইয়াসির আযমান, ঢাকা ব্যাংক লিসিটেডের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এমরানুল হক ও মাইক্রোসফট বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সোনিয়া বশির কবির।
উৎসব প্রসঙ্গে আবুল খায়ের বলেন, “ফোক ফেস্টিভ্যালের আলাদা একটা ব্যাপার আছে। আমাদের শেকড়ের একটা ব্যাপার আছে..আমাদের দেশের ব্যাপার রয়েছে..বাংলা গানের ব্যাপার আছে..মানুষের অংশগ্রহনের একটা ব্যাপার আছে।”
লোকসংগীত উৎসব শুরু করার পেছনের গল্পটি শোনান অঞ্জন চৌধুরী।
তিনি বলেন, “শেকড়ের যে গান, বাদ্য বাজনা সবকিছু নিয়ে যা আমাদের গ্রাম বাংলার মানুষ। সারা পৃথিবীতেই লোক সংগীতের অনুষ্ঠান হয়। স্বল্প পরিসরে আন্তর্জাতিক একটা প্লাটর্ফম আমরা তৈরি করতে চেয়েছিলাম। সেখান থেকেই সেই চিন্তাটা আমাদের আসে এবং গত বছর ২০১৫ সালে আমরা এই অনুষ্ঠানটির আয়োজন করি।”
তিনি আরও বলেন, “আমি সত্যিই অভিভূত হয়েছি যেভাবে মানুষ সাড়া দিয়েছে এবং একটা আনন্দমূখর পরিবেশে আমরা তিনটা দিন কাটিয়েছি। এখান থেকেই আমরা এই আয়োজককে কনটিনিউ করার চিন্তা করেছি। সেই ধারাবাহিকতা থেকেই আমরা চিন্তা করেছি এই বছরও করবো এবং এটা কনটিনিউ করবো।”
এবারের আয়োজনে সাতটি দেশ অংশগ্রহণ করছে বলে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়। এবারের উৎসবে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ, ভারত, তুরস্ক, ফ্রান্স, স্পেন, যুক্তরাজ্যে ও কানাডা।
তবে গতবারের উৎসবে পাকিস্তান অংশগ্রহণ করলেও এবার দেশটির শিল্পীদের আসার ব্যাপারটি নাকি এখনও অনিশ্চিত।
এব্যাপারে অঞ্জন চৌধুরী বলেন, “আমরা পাকিস্তানের শিল্পীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছি। কিন্তু এখনও আমরা কনর্ফাম করতে পারিনি। কারণ আমরা তাদের পক্ষ থেকে এখনো কোন কনর্ফামেশন পাচ্ছি না।”
বিষয়টির সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পৃক্ততা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এখানে আমাদের কিংবা আমাদের সরকারের সঙ্গে কোন সম্পৃক্ততা নেই। শিল্পীরা নিজেরাই কী একটা কারণে যেন আমাদের কনর্ফাম করেনি। হয়তোবা তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।”
পুরো আয়োজনটি থাকছে সকলের জন্য উম্মুক্ত।
গতবারের মত এবারের আসরেও সংগীতপ্রেমীরা পাচ্ছেন বিনামূল্যে অনলাইনে নাম নিবন্ধনের সুযোগ। পয়লা নভেম্বর থেকে শুরু হবে এবারের আসরের রেজিস্ট্রেশন। বিস্তারিত জানার জন্য কল করা যাবে ১৬৩৭৪ নম্বরে।
অনুষ্ঠানটির সম্প্রচারের দায়িত্বে থাকছে বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙা টেলিভিশন। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১২টা পযর্ন্ত চলবে এবারের আসর।
এই জাতীয় আরোও পোষ্ট দেখুন ঃ