“জনপ্রিয়তা কিংবা যোগ্যতার মাপকাঠি ইউটিউব নয়”আসিফ আকবর।
আমাদের দেশে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রবনতা প্রবল আকার ধারন করে,এটাকে সংক্ষেপে ‘হুযুগ’ বলে আখ্যায়িত করা হয়। তেমন একটি হুযুগের নাম হচ্ছে ইউটিউব। অন্ততঃ এক বছর ধরে দেখছি ইউটিউবে ভিউ প্রবনতার উপর আমার কিছু ভাই ব্রাদার নিজেকে সেরা প্রমান করার চেষ্টা করছে,পত্রিকায় হরদম নিউজ হচ্ছে। ইউটিউব কি খায় না মাথায় দেয় – এটা নিয়ে গোলকধাঁধা অস্বীকার করার উপায় নেই।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার প্রচারনার জন্য বুস্ট পোষ্ট কেনা যায়, ইউটিউবেও প্রমোশনাল করা যায় গানের প্রচারের জন্য। এটা দোষের কিছু না, কেউ যদি চায় তার গান পৌঁছে যাক কোটি শ্রোতার চোখে কানে- এজন্য তিনি প্রমোশনাল করতে পারেন, এতে খরচ আছে, আয় দেখতে হবে মাইক্রোস্কোপে । তাছাড়া পত্রিকার বিনোদন পাতার ব্যাপ্তি বেড়েছে, সেখানেও আয়ের সূযোগ আছে। কোটি কোটি ভিউয়ার্স স্বেচ্ছায় দেখলে শিশু জাহিদের গাওয়া – মধু খই খই বিষ খাওয়াইলা – গানটির মত ছড়িয়ে পড়তো অলিতে গলিতে,গান থাকতো মানুষের মুখে মুখে।
পায়েস এবং সূজির মধ্যে অবশ্যই পার্থক্য আছে। গান ভিউয়ার্সের কাছে পৌঁছে দেয়া আর ভিউয়ার্স স্বেচ্ছায় ভিউ করার মধ্যে পার্থক্য বুঝতে হবে। মনে রাখতে হবে আজকালকার বাচ্চারাও ইউটিউব নির্ভর। জনপ্রিয়তা কিংবা যোগ্যতার মাপকাঠি ইউটিউব নয়, যদি হয় তাহলে পরীক্ষা প্রার্থনীয় । বিনোদন সাংবাদিকদের এ বিষয়ে সম্যক জ্ঞান অর্জনের প্রয়োজন, অন্যথায় লোকে হাসবে । এতো বড় ইউটিউব সাম্রাজ্যকে টেস্টটিউব বেবী ভাবার কোন অবকাশ নেই । সুলতান সুলেমান বলেছেন-বড় শাহজাদা উত্তরসূরি হিসেবে সিংহাসনে বসতে পারে কিন্তু রাজ্য শাসন কে করবে সেটা সময়ই বলে দেবে !!