top of page

শৈশব-কৈশোরে রুনা লায়লা,-জন্মদিনের শুভেচ্ছা!

বাংলাদেশের সংগীত ভুবনের জীবন্ত কিংবদন্তি রুনা লায়লা। তার সুরের আবীর শ্রোতার মনে বইয়ে দেয় প্রশান্তির হাওয়া। বৈচিত্রময় আর মনমাতানো গানে গানে পাঁচ দশক ধরে গুণী এই শিল্পী বিলিয়ে এসেছেন নানান রঙের অনুভূতি। তার সুরসমুদ্রে ভেসে যেতে ইচ্ছে করে সববয়সী শ্রোতার।

প্লে-ব্যাক সঙ্গীতে সূবর্ণজয়ন্তী পার করেছেন গেল বছর। বয়সটা এখন সাড়ে ছয় দশকে এসে দাঁড়িয়েছে। তিনি রুনা লায়লা। উপমহাদেশের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী। জীবনের বাঁকে ৬৪ বসন্ত কখন যে পার হয়ে গেছে! তবু যেন সজীব-সতেজ প্রাণ এক। যার কণ্ঠের জাদুতে এখনও মোহিত হন অসংখ্য শ্রোতা। আজ ১৭ নভেম্বর তার ৬৪তম জন্মদিন। এ উপলক্ষে ভক্তদের জন্য প্রতিবেদনটির সঙ্গে দেওয়া হলো তার শৈশব-কৈশোরের কিছু ছবি।

তাকে দেখলেই মনে হয় গুরু-গম্ভীর। অনেকে হয়তো এমনই ভাবেন। অনেক উঁচুতে দাঁড়িয়ে থাকা কারও ব্যক্তিত্বে এমন গাম্ভীর্য থাকাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু রুনা লায়লা আদপে তা নন। খুবই সহজ-সরল প্রাণবন্ত একজন মানুষ। কথা বলতে গেলে ঠোঁটের কোণে হাসি লেগেই থাকে। নতুন কিংবা পুরনো, যার সঙ্গে কথা বলুন না কেন এই হাসি তার চির অমলিন। চারপাশের মানুষগুলোকে মুগ্ধতার আবেশে জড়িয়ে রাখেন।

তার পরিচিতি বিশ্বজুড়ে। বিশেষ করে উপমহাদেশের বিখ্যাত শিল্পীদের নাম নিলে শীর্ষ তালিকায় রুনা লায়লার নাম থাকবেই। এর প্রমাণও মিলেছে বহুবার। বিদেশী কেউ এলে যদি প্রশ্ন করা হয়, এদেশের কারো গান শুনেছেন? উত্তরে রুনা লায়লার নামটিই সর্বাগ্রে উচ্চারিত হয়। গিনেস ওয়ার্ল্ড বুকে নামও লিখিয়েছেন এই বঙ্গকন্যা। গত পাঁচ দশক ধরেই শ্রোতাদের মোহিত করছেন সুরের জাদুতে। প্রতিনিয়ত ভালোবাসার পরিমাণ বাড়ছেই। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের কোনো শিল্পী তার মতো সুনাম অর্জন করতে পারেননি। প্রখ্যাত ভারতীয় সাংবাদিক খুশবন্ত সিং তো তার লেখনীতে বলেছেন, ‘তোমরা আমাদের রুনা দাও, আমরা তোমাদের ফারাক্কার পানি দিয়ে দেব’। এত ভালোবাসা, এত অর্জন কীভাবে সম্ভব? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে স্মৃতির পাতা থেকে ঘুরে আসা যাক।

রাজশাহীর ছেলে সৈয়দ মোহাম্মদ এমদাদ আলী কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাস করার পর কলকাতাতেই কাস্টমস অ্যান্ড এক্সাইজ ডিপার্টমেন্টে ১৯৪৫ সালে চাকরি নেন। ছোটবেলা থেকে সঙ্গীতপ্রেমী এমদাদ আলীকে আকৃষ্ট করেছিলেন বিদ্যাসাগর স্ট্রিটের বসবাস করা চট্টগ্রামের বিশিষ্ট জমিদার পরিবারের মেয়ে গায়িকা অমিতা সেন। ১৯৪৭ সালের জুলাই মাসে এই অমিতা সেনই আমিনা লায়লা হয়ে এলেন এমদাদ আলীর ঘরে। তাদের দাম্পত্য জীবনের এক বছর পর ১৯৪৮ সালে ঘর আলো করে এলেন দীনা লায়লা। দীনার মধ্যে যেন পিতা-মাতার সঙ্গীত প্রেম একেবারে মূর্ত হয়ে দেখা দিল। ওস্তাদও রাখা হল তার জন্য। মাত্র সাড়ে চার বছর বয়সে হারমোনিয়াম বাজিয়ে গান করে বিচিত্রানুষ্ঠানের সব দর্শকদের বিস্মিত করে দেন দীনা। এরমধ্যে ১৯৫২ সালের ১৭ নভেম্বরে জন্ম হল রুনা লায়লার। রুনার বয়স যখন আড়াই বছর, তখন তার বাবা বদলি হয়ে যান পাকিস্তানের মুলতানে। সেখানে গিয়েও বড় বোন দীনার সঙ্গীত চর্চা চলছে দুর্বার গতিতে। শিশু রুনা লায়লা তখন বড় বোনের আশপাশে ঘুরঘুর করেন। আপুর সঙ্গীত চর্চা দেখেন। সুযোগ পেলেই তার সঙ্গে সুর তোলার চেষ্টা করেন। এরমধ্যে দুই বছর পর ১৯৫৭ সালে মুলতান থেকে করাচি বদলি হয়ে আসেন রুনার বাবা। এসেই দীনার সঙ্গীত চর্চার দায়িত্ব দেন ওস্তাদ আব্দুল কাদের ভূপালীর হাতে। তখনও রুনার দিকে পরিবারের কেউ নজর দেননি। মেয়ে নাচে ভালো করবে- এমন চিন্তা-ভাবনা থেকে রুনাকে নাচের স্কুলে ভর্তি করান হয়। নাচেই রুনা ক্যারিয়ার গড়ুক- সম্ভবত বাবা-মার ইচ্ছা ছিল এমনই। কিন্তু রক্তে যার ‘সা রে গা মা’র নেশা তাকে কী ‘তা তা থৈ থৈ’ গ্রাস করতে পারে?

দীনাকে গান শেখানোর সময় ওস্তাদ খেয়াল করতেন বড় বোনের পাশে নিশ্চুপ বসে থাকা ছোট বোন রুনাও ঠোঁট মেলাচ্ছেন। তবে চুপি চুপি। সঙ্গে চোখে মুখে ব্যাপক কৌতূহল আর আগ্রহ। ওস্তাদ বুঝে ফেললেন ‘এতটুকুন বয়সে যার অনুকরণের ক্ষমতা বিস্ময়কর, তাকে আর দূরে সরিয়ে রাখা যায় না।’ বাবাকে ডেকে বললেন, ‘এমদাদ সাহেব, আপনার এ মেয়েটিকেও আমি গান শেখাব।’ সেই থেকে শুরু। রুনা লায়লার বয়স তখন ৬ বছর। বড় বোন দীনার সঙ্গে বাসায় গান শিখেন তিনি। করাচিতে তখন ‘ঢাকা ওল্ড বয়েজ এসোসিয়েশন’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেখানে দীনার গাইবার কথা। কিন্তু হঠাৎ করেই দীনার গলা খারাপ হয়ে গেল। আয়োজকরা পড়লেন বিপদে। তারা বাসায় এলে মা বললেন, ‘দীনা না গাইতে পারলে রুনা গাক’। এ কথা শুনে আয়োজকরা দ্বিধায় পড়ে গেলেন। এইটুকু মেয়ে কী গান গাইবে? উপায়ন্তর না দেখে শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠানে রুনা লায়লাকে গাইবার অনুমতি দেয়া হল। অনুষ্ঠানে তিনি একটি ক্ল্যাসিকাল রাগ গাইলেন। বিস্ময় ভরা দৃষ্টিতে সবাই দেখলেন, মাত্র ছয় বছরের একটি মেয়ে, তানপুরা যার চেয়ে অনেক বড় সে বসে বসে গাইছে। কী সুরেলা কণ্ঠ! বিস্ময়ের ঘোর যেন কাটছে না কারও। অনুষ্ঠান শেষে অ্যাওয়ার্ড পেলেন, অ্যাওয়ার্ড দেয়া হল রুনাকে। সঙ্গে কিছু ক্যাশপ্রাইজও। বয়স যখন নয় বছর তখন ইন্টার স্কুল মিউজিক কম্পিটিশন হয়েছিল রেডিও পাকিস্তানের উদ্যোগে। কিন্তু বাঁধ সাধলো ভাষা। রুনা লায়লা ইংরেজি মিডিয়ামের ছাত্রী বলে আয়োজকরা নিতে অপারগ। শুধু উর্দু মিডিয়ামের যারা তারাই অংশ নিতে পারবেন। শেষ পর্যন্ত জটিলতা কাটিয়ে ওই অনুষ্ঠানে রুনাকে গাইবার সুযোগ দেয়া হল। একটি গজল গেয়ে প্রতিযোগিতার প্রথম পুরস্কার তার ঝুলিতেই জমা পড়ে। এরপর আর থেমে থাকতে হয়নি। বাকিটা কেবলই ইতিহাস। একদিন গান রেকর্ড করেন বারো বছরের রুনা। সেই মুহূর্তে শুধু একটি অনুভূতিই ছিল তার মনে, গানটি যেন ভালো হয়। প্রত্যাশা পূরণ হয়েছিল তার। ১৯৬৪ সালে লাহোরে ‘জুগনু’ ছবিতে ‘মুন্নি মেরি’ গানের মাধ্যমে প্লে-ব্যাকে পা রাখেন রুনা। গানটি ছিল তার বয়সী এক শিশুর জন্য। এর কিছুদিন পরই ‘হাম দোনো’ ছবির নায়িকার জন্য গান করেন রুনা। এরপর প্রায় এক দশক ধরে তার জাদুকরী কণ্ঠের শিহরণ নূরজাহানের মতো প্রতিষ্ঠিত শিল্পীর ক্যারিয়ারেও কাঁপন ধরিয়েছিল। জুগনু’র পর ‘কমাণ্ডার’, ‘হাম দোনো’, ‘আঞ্জুমান’, ‘উমরাও জান আদা’, ‘মন কী জিৎ’, ‘এহসাস’ ও সর্বশেষ ‘দিলরুবা’সহ বেশকিছু ছবিতে অনবদ্য কিছু গানের সুবাদে বঙ্গললনা রুনা আজও সমাদৃত সঙ্গীতপ্রেমী উর্দু ভাষাভাষীদের অন্তরে। উর্দু ক্লাসিক্যাল ‘জানেমান ইতনা বাতাদো’, ‘আগার ম্যায় বাতাদু’, ‘দিল কি ধাড়কান মধ্যম মধ্যম’, ‘মেরে হোঠো পে’, ‘মিলি গুল কো’সহ সুফি ঘরানার ‘দমাদম মাস্ত কালান্দার’ গানগুলোর পাশাপাশি ভারতেও কম হয়নি সমাদর। ষাটের দশকের একদম শেষভাগে রুনা লায়লার ডাক পড়ে বলিউডি সিনেমার গানেও। ‘ফির সুভা হোগি’, ‘ঘর আওন্দা’, ‘এক ছে বাড়কার এক’ ছবিগুলোতে গান গেয়ে বেশ প্রশংসা কুড়ান তিনি। অমিতাভ বচ্চন অভিনিত ‘অগ্নীপথ’ ছবিতে ‘আলী বাবা মিল গ্যায়ে চাল্লিশ চোরো সে’ গানটিও রুনার কণ্ঠের। বছর দশেকের হিন্দি ছবির প্লে-ব্যাক ক্যারিয়ারে রুনা লায়লা জয়দেব, আনন্দজি-কল্যাণজি, লক্ষীকান্ত-প্যায়ারেলাল, বাপ্পী লাহিড়ির ডিস্কো গানেও প্রশংসিত হন এই বঙ্গ ললনা। দেশ স্বাধীনের তিন বছর পর ১৯৭৪-এ বাংলাদেশে আসেন রুনা লায়লা। দেশে ফিরে প্রয়াত সত্য সাহার সুরে ‘জীবন সাথী’ ছবিতে ‘ও জীবন সাথী তুমি আমার’ শিরোনামে প্রথম গান করেন। এ গানে তার সঙ্গে কণ্ঠ দেন খন্দকার ফারুক আহমেদ। একই বছর বিটিভিতে একটি অনুষ্ঠানে গাইবার ডাক পান রুনা। দেবু ভট্টাচার্যের সুরে ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের লেখা পাঁচটি গান ধারণ করা হল অনুষ্ঠানটির জন্য। সে অনুষ্ঠানে তিনি একটু নেচে গান পরিবেশন করলেন। আর যায় কোথায়? সবার দৃষ্টি রুনার দিকে। ছড়িয়ে পড়ল তার স্টাইলিস্ট গায়কীর সুনাম। সেই থেকে নতুন ইতিহাসের সৃষ্টি। আজ এই কিংবদন্তির জন্মদিন। পৃথিবীর আলোকিত করা এই দিনটিকে কী বিশেষ কিছু মনে হয় তার কাছে? রুনা লায়লার কাছে জানতে চাইলে সেই চিরাচরিত অমলিন হাসি দিয়ে বলেন, ‘প্রতিটি দিনই আমার কাছে একটি নতুন দিন। জন্মদিনও আলাদা কিছু নয়। সূর্যের আলো, বিকালের মৃদু হাওয়া, সাঁঝের মায়া, চাঁদের আলো সবই নতুন মনে হয়। এভাবেই ভাবতে ভালো লাগে আমার।’ শৈশবে জন্মদিনে কী উপহার চাইতেন? এমন প্রশ্নে কিছুটা নস্টালজিক হয়ে পড়লেন। ঘোর কাটিয়ে বললেন, ‘নতুন জামা, নতুন জুতা, চুলের ফিতা। ছোটবেলায় জন্মদিনের অনুষ্ঠানে বন্ধুরা বিভিন্ন মোড়ক নিয়ে আসত। ওগুলো খুলে অন্যরকম আনন্দ পেতাম। এখন সেই আনন্দটা খুব মিস করি।’ বিদেশী কোনো তারকা যখন বলেন, বাংলাদেশী রুনা লায়লার গান শুনেছি, তখন কেমন অনুভূতি হয় আপনার? একেবারেই স্বাভাবিক ভঙ্গিতে উত্তর দিলেন, ‘খুবই ভালো লাগে। একজন বাংলাদেশী হিসেবে এটা আমার জন্য অবশ্যই গর্বের ব্যাপার। বাইরের দেশে গেলে অনেকে সৌজন্য দেখিয়ে প্রায়ই বলেন, বাংলাদেশ মানেই রুনা লায়লা। এটা অবশ্যই বিরাট পাওয়া।’ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্বও পালন করেছেন রুনা লায়লা। সঙ্গীত নিয়ে ঘুরেছেন পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে। সঙ্গীত বিষয়ে দেখেছেন, শুনেছেন, জেনেছেন অনেক কিছু। বাংলাদেশের সংস্কৃতি নিয়ে বিদেশীদের মনোভাব কেমন লক্ষ্য করেন তিনি? এমন প্রশ্নের উত্তরে রুনা লায়লা বলেন, ‘সুর-ক্ষেত্র’ প্রতিযোগিতায় ভারত ও পাকিস্তানের প্রতিযোগীদের সামনে বিচারক হিসেবে কাজ করেছি। ওখানে অনেকেই বলেছেন, বাংলাদেশের প্রতিযোগী থাকলে আরও ভালো হতো। আগামীতে ‘সুর-ক্ষেত্র’র নতুন আসর হলে বাংলাদেশের নবীনদেরও গাওয়ার সুযোগ দিতে চায় ওরা। এতেই বোঝা যায়, আমাদের দেশের গান-বাজনা নিয়ে তাদের ইতিবাচক ধারণা রয়েছে।’ সঙ্গীত জীবনে ১৯টি ভাষায় অসংখ্য গান গেয়েছেন কিংবদন্তি এ শিল্পী। যা আগামী প্রজন্মের জন্য ইতিহাস হয়ে থাকবে। কিন্তু তাদের জন্য রুনার গাওয়া গানগুলো সংরক্ষণ করা হচ্ছে কী? কিংবা এ বিষয়ে তিনি কী ভাবছেন? প্রসঙ্গ তুলতেই রুনা বলেন, ‘এ নিয়ে ভেবেছি। তবে কীভাবে বা কোন প্রক্রিয়ায় কাজটি করব তা এখনও চূড়ান্ত করিনি। হয়তো শিগগিরই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেব।’ কণ্ঠে শুধু গানই ধারণ করেননি। অভিনয়েও দেখা গেছে এ সুরের সাধককে। প্রয়াত চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘শিল্পী’ ছবিতে স্ব-চরিত্রে তাকে দেখা গেছে। যদিও এটা বায়োপিক ছিল না। তবুও অভিনয় করতে কেমন লেগেছিল তার। এমন প্রশ্নে কিছুটা ভাবান্তর এলো রুনার মধ্যে। বললেন, ‘অভিনয় করার অনেক প্রস্তাব পেয়েছি। বলিউডের প্রয়াত সুপারস্টার রাজেশ খান্নাও তার চলচ্চিত্রে আমাকে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু রাজি হইনি। আমি গান নিয়েই থাকতে চেয়েছি। কিন্তু চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত শিল্পী চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছি এক বছর ভাবার পর। এর গল্প ছিল আমাকে নিয়েই। কিছুদিন আগে আমি এবং আমার স্বামী আলমগীর একটি বিজ্ঞাপনে মডেল হয়ে কাজ করেছি। একটি পরিবারের গল্প, তাই কাজটি করা। সত্যি বলতে কী গান গেয়ে শ্রোতাদের ভালোবাসা পেয়েছি সবসময়। তারা আমার গান পছন্দ করেছেন, করছেন এখনও। তাদের জন্য চিরকাল গাইব।’ একনজরে রুনা লায়লা জন্মস্থান-সিলেট জন্মদিন- ১৭ নভেম্বর ১৯৫২ স্বামী- চিত্রনায়ক আলমগীর পিতা-মাতা-এমদাদ আলী-আমিনা লায়লা ভাই-বোন- দুই বোন এক ভাই (বোন -দীনা লায়লা, ভাই সৈয়দ আলী মুরাদ) উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে দীক্ষা- ওস্তাদ হাবিব উদ্দিন খান ও আবদুল কাদের পিয়ারাং গজলে দীক্ষা-পণ্ডিত গোলাম কাদির (মেহেদী হাসানের ভাই) দর্শকের সামনে প্রথম গান-৬ বছর বয়সে গানে প্রথম পুরস্কার লাভ- ৯ বছর বয়সে প্রথম প্লে-ব্যাক-পাকিস্তানি চলচ্চিত্র ‘জুগনু’তে। বয়স তখন সাড়ে এগারো। বিভিন্ন ভাষায় গান গাওয়া-রুনা লায়লা গাইতে পারেন হিন্দি, উর্দু, পাঞ্জাবি, সিন্ধি, গুজরাটি, পাস্ত, বালুচি, অ্যারাবিক, ফারসিয়ান, মালয়, নেপালিজ, জাপানিজ, ইটালিয়ান, স্প্যানিশ, ফ্রেন্স ও ইংলিশ। উপস্থাপনা-১৯ বছর বয়সে পাক্ষিক ‘বাজমে লায়লা’ (নিজের অনুষ্ঠান) এখন পর্যন্ত গানের সংখ্যা-প্রায় ১০ হাজার এখন পর্যন্ত পদকের সংখ্যা-বিভিন্ন দেশ কর্তৃক তিনশত পদক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-সর্বোচ্চ ৫ বার

  • Twitter Social Icon
  • Facebook Social Icon
  • Google+ Social Icon
  • LinkedIn Social Icon
Follow
"SAREGAMA JUST IN"

  জনপ্রিয় সংবাদ সা রে গা মা

বাংলা গান সা রে গা মা

Print  / Press Ctrl+P
Saregama Bangla

Sa Re Ga Ma News Archive

Write Yours Comments. 

RSS Feed

Reproduction of any content, news or article published on this website is strictly prohibited Privacy. 

bottom of page