বাংলা সঙ্গীত ও অভিনয়ে, দুই কৃর্তিমান পুরুষ যাদের জন্মদিন আজ!
‘তুমি রোজ বিকেলে’, ‘তোরে পুতুলের মত করে সাজিয়ে’, কিংবা ‘যেখানে সীমান্ত তোমার’ গানগুলো আজীবন বাংলা গানের শ্রোতাদের মনে বাঁচিয়ে রাখবে তাকে। এমনি শত প্রাণবন্ত গান রয়েছে তার দীর্ঘদিনের সংগীত ক্যারিয়ারে। তিনি শ্রোতানন্দিত সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ। অন্যজন হলেন সমকালীন অভিনয়ে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছেন যিনি। হাস্যরস কিংবা সিরিয়াস সবখানেই তিনি সাবলীল অভিনয় দিয়ে জয় করেছেন দর্শকের মন। তার অভিনীত ‘আয়নাবাজি’ চলচ্চিত্রটি গেল দশ বছরের সেরা ব্যবসা সফল ছবির একটি। বলছি চঞ্চল চৌধুরীর কথা। শোবিজের দুই ভুবনের এই দুই তারকার শুভ জন্মদিন আজ। সারেগামার পক্ষ থেকে তাদের প্রতি রইল জন্মদিনের শুভেচ্ছা। জন্মদিনকে ঘিরে দুই তারকার কেউই কোনো আনুষ্ঠানকিতা করছেন না। একেবারে পারিবারিক আবহেই কাটা হবে কেক। পরিবারের সদস্য আর খুব কাছের সহকর্মী-বন্ধুরা উপস্থিত থাকবেন সেখানে। সংগীতের আবহেই ১৯৬৩ সালের ১ জুন জন্ম কুমার বিশ্বজিতের। চট্টগ্রাম জেলায় তার শৈশব অতিবাহিত হয়েছে। ‘তোরে পুতুলের মত করে সাজিয়ে’ গান দিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্রাবস্থাতেই তিনি পেয়েছিলেন জনপ্রিয় গায়কের খ্যাতি। তারপর পথ চলেছেন সাফল্যের বরপুত্র হয়ে। বাংলা আধুনিক কিংবা চলচ্চিত্রের গানে দীর্ঘ চার দশক ধরে কন্ঠ দিচ্ছেন কুমার বিশ্বজিৎ। জয় করে নিয়েছেন তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। তবে গুণী এই কন্ঠশিল্পী মনে করেন, শ্রোতা-ভক্তদের ভালবাসাই একজন শিল্পীর জীবনে সবচাইতে বড় আশীর্বাদ। আর সেটা তিনি পেয়েছেন। অন্যদিকে বাংলাদেশের পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার নজিরগঞ্জ ইউনিয়নের কামারহাট গ্রামে ১৯৭৪ সালের ১ জুন জন্মগ্রহণ করেন চঞ্চল চৌধুরী। গ্রামের স্কুল থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক এবং রাজবাড়ি সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়াশোনা করেন। উচ্চমাধ্যমিক শেষ করার পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলায় ভর্তি হন। ছোটবেলা থেকেই তার গানবাজনা, আবৃত্তি আর নাটকের প্রতি নেশা ছিল। পরে তার মঞ্চনাটকের প্রতি একটা আগ্রহ সৃষ্টি হয়। মামুনুর রশীদের আরন্যক নাট্যদলের সাথে কাজ করার মধ্যদিয়েই অভিনয় জীবনের শুরু হয়। মামুনুর রশীদের লেখা ‘সুন্দরী’` নাটকে ছোট একটি চরিত্রে তিনি প্রথম অভিনয় করেন। তিনি বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র বাজানো, অভিনয়, গান, ছবি আঁকা এসব কিছুতেই সমান পারর্দশী। মোস্তফা সরওয়ার ফারুকীর ‘তাল পাতার সেপাই’ নাটক দিয়ে দর্শকের কাছে পরিচিত হয়ে ওঠেন এই মঞ্চ অভিনেতা। তারপর থেকেই তিনি মঞ্চের পাশাপাশি বিরামহীন কাজ করে যাচ্ছেন টিভি নাটকে। তিনি ২০০৯ সালে গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত ‘মনপুরা’ ছবিতে এবং মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত টেলিভিশন ছবিতে অভিনয় করে প্রশংসিত হন।
Comentários